পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 नाना-क्थ। তাহ’লে বহু খণ্ড-মিথ্যার উপর সে সত্যের যে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, এরূপ মিছা আশা শুধু পাগলে করতে পারে। আসল কথা এই যে, দর্শনে আমরা ব্যষ্টি ও সমষ্টি এই দুইটি ভাবকে পৃথক করে নিলেও, এ বিশ্ব ব্যস্তসমস্ত। তাই সমষ্টির জ্ঞানের ভিতর ব্যষ্টির জ্ঞান প্রচ্ছন্ন থাকে, এবং ব্যষ্টির জ্ঞান সমষ্টির জ্ঞানের অপেক্ষা রাখে ; কেন না বস্তুত ও-দুই একসঙ্গে জড়ানো। তত্ত্বজ্ঞানে ও বিজ্ঞানে প্ৰভেদ এই যে, সমষ্টিজ্ঞান পরীবিদ্যায় এক ভাবে পাওয়া যায়, আর অপরাবিদ্যায় আরএকভাবে পাওয়া যায়। পরাবিষ্ঠার সমষ্টিজ্ঞান হচ্ছে মূলত একত্বের জ্ঞান। অপরপক্ষে বহুকে যোগ দিয়ে যে সমষ্টি পাওয়া যায়, তারি জ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানানুমোদিত সমষ্টিজ্ঞান। তত্ত্বজ্ঞানী এক জেনে সব জানতে চান, আর বৈজ্ঞানিক সবকে একত্র করে জানতে চান। এ দুয়ের ভিতর পার্থক্য আছে, কিন্তু বিরোধ নেই। সুতরাং বিজ্ঞানের চর্চায় পারমার্থিক সত্যের নাশের ভয় নেই; ভয় আছে শুধু মিথ্যাজ্ঞানের উচ্ছেদের। র্যারা মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চান, তারাই শুধু বিজ্ঞানকে ডরান। পূর্বে বলা হয়েছে যে, প্রতিভাসিক সত্য হচ্ছে, ভ্ৰমজ্ঞান। এ কথা শুনে লোকের এই ধোক লাগতে পারে যে, কি করে” একই জ্ঞান যুগপৎ সত্য ও ভ্রম হতে পারে। প্ৰতিভাসিক সত্য যে এক হিসাবে সত্য, আর এক হিসাবে মিথ্যা,-এর স্পষ্ট প্রমাণ আছে। সম্মিলনের সভাপতি भशझे 6य छू উদাহরণ দিয়েছেন, তারি সাহায্যে প্ৰতিভাসিক সত্যের স্বরূপ নির্ণয় করতে চেষ্টা করব। সূৰ্য্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে, এটি হচ্ছে প্ৰতিভাসিক । সত্য; আর পৃথিবী যে সূর্ঘ্যের চারদিকে ঘুরছে, এটি হচ্ছে