পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-সন্মিলন । SR কারণেই তর্করত্নমহাশয় আমাদের দেশী বিলাতি সকল প্ৰকার দর্শন বিজ্ঞান অনুবাদ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। তঁর মতে আলস্যপ্রিয় বাঙালীমনের পক্ষে বিজ্ঞানচর্চারূপ মানসিক ব্যায়াম হচ্ছে অত্যাবশ্যক । আমাদের অলস মনের আরাম-জনক বিশ্বাসসকল বিজ্ঞানের অগ্নিপরীক্ষায় পরিশুদ্ধ না হলে সত্যের খাঁটি সোনাতে তা পরিণত হবে না,-আর যা খাটি সোনা নয়, তার অলঙ্কার ধারণ করলে কাব্যের দেহও কলঙ্কিত হয় । ( ( ) এবারকার সাহিত্য-সম্মিলনের ফলে যদি বিজ্ঞানের সঙ্গে BDBD BBD DSSYT DD BDDDDBDDBBBDB D DBDD দুই-ই পুষ্ট হবে। সে মিলন যে কবে হবে তা জানিনে। কিন্তু সত্যের সঙ্গে আমাদের ভাবের ও ভাষার বিচ্ছেদটি যে বহু লোকের নিকট অসহ্য হয়ে উঠেছে,-এইটি হচ্ছে মহা আশার কথা । মিথ্যার প্রতি আগে বিরাগ না জন্মালে কেউ সত্যের উদ্দেশে তীর্থযাত্ৰা করেন না ; কারণ, সে পথে কষ্ট আছে। বিজ্ঞানের মন্দিরে, অর্থাৎ সত্যের মান-মন্দিরে পৌছতে হলে আগাগোড়া সিঁড়ি ভাঙ্গা চাই। আমি বৈজ্ঞানিক নই,- কাজেই প্ৰত্যক্ষ-জ্ঞানই আমার মনের প্রধান সম্বল। সেই প্ৰত্যক্ষ-জ্ঞানের সম্বন্ধে সাহিত্যচাৰ্য্যের কেউ দু'টি ভাল কথা বলেননি। তাই আমি তার স্বপক্ষে কিছু বলতে বাধ্য হচ্ছি। বিজ্ঞান প্রত্যক্ষ-জ্ঞানের অতিরিক্ত হলেও ঐ মূল জ্ঞানের উপরেই প্রতিষ্ঠিত। বাহ বস্তুকে ইন্দ্ৰিয়গোচর করতে হ’লে,