পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» S፱” ai2|-२ीं । ইন্দ্ৰিয়েরও একটা শিক্ষা চাই। অনেকে চােখ থাকতেও কাণী, কান থাকতেও কাল,—অথচ মুখ না থাকলেও মুক নন। এই শ্রেণীর লোকের বাচালতার গুণেই আজ বাঙলা-সাহিত্যের কোন মৰ্য্যাদা নেই। কাব্যকে আবার সাহিত্যের শীর্ষস্থান অধিকার করতে হলে, ইন্দ্ৰিয়াকে আবার সজাগ করে” তোলা চাই। চোেখও বাহাবস্তুসম্বন্ধে আমাদের ঠকাতে পারে, যদি সে চোখ ঘুমে ঢোলে। অপরপক্ষে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকলেও, যা স্পষ্ট তাও আমাদের কাছে ঝাপসা হয়ে যায়। চোখে আর মনে এক না করতে পারলে, কোনও পদাৰ্থ লক্ষ্য করা যায় না। ইন্দ্ৰিয় ও মনের এই একীকরণ, সাধনা বিনা সিদ্ধ হয় না। যারা কাব্য রচনা করবেন, তাদের পক্ষে বাহিরের ভিতরের সকল সত্যকে প্ৰত্যক্ষ করবার ক্ষমতা অৰ্জন করতে হবে । কারণ কাব্যে প্ৰত্যক্ষ ব্যতীত অপর কোনও সত্যের স্থান নেই । সুতরাং প্রত্যক্ষ-জ্ঞানের উপর অবিশ্বাস এবং তার প্রতি অমনোযোগ হচ্ছে কাব্যে সকল সর্বনাশের মূল। প্রত্যক্ষ-জ্ঞান অবশ্য নিজের সীমা লঙ্ঘন করলে মিথ্যা বিজ্ঞানে পরিণত হয়। বিজ্ঞানও তেমনি নিজের সীমা লঙ্ঘন করলে মিথ্যা তত্ত্বজ্ঞানে পরিণত হয়। তার কারণ, বিজ্ঞান কোনও পদার্থকে একহিসেবে দেখতে পারে না। বিজ্ঞান যে সমষ্টি খোজে, সে হচ্ছে সংখ্যার সমষ্টি। বিজ্ঞান চারকে এক করতে পারে না। বিজ্ঞান চারকে পাওয়ামাত্র,-হয় তাকে দুই দিয়ে ভাগ করে, নয় তার থেকে দুই বিয়োগ করে; পরে আবার হয় দুই দ্বিগুণে, নয় দুয়ে দুয়ে চার করে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যার উপর হস্তক্ষেপ করে, তাকে আগে ভাঙ্গে, পরে আবার যোড়াতাড়া দিয়ে গড়ে। উদাহরণস্বরূপ দেখানো যেতে পারে যে, বিজ্ঞানের হাতে জল