পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y8 o ब्रांन-काश ( 8 ) ইংরাজ যে সর্বপ্রথমে ভারতবর্ষের মানচিত্র লালবর্ণে চিত্রিত করেছেন তা নয় ; আজ দু-হাজার বৎসরেরও পূর্বে অশোকও একবার ঐ মানচিত্র গেরুয়া-রঙে রঞ্জিত করেছিলেন। একথা শিক্ষিত লোকমাত্রেরই জানা না থাক, শোনা আছে। যা সুপরিচিত তার আর নূতন করে আবিষ্কার করা চলে না, সুতরাং রাধাকুমুদীবাবু প্রাচীন ভারতের এক-রাষ্ট্রীয়তার মূল বৈদিক সাহিত্যে অনুসন্ধান করেছেন,—তার পুস্তিকার মৌলিকতা এইখানেই। সুতরাং তিনি অনুসন্ধানের ফলে যে নূতন সত্য আবিষ্কার করেছেন, তা বিনা পরীক্ষায় গ্ৰাহ করা যায় না। শাস্ত্রকারেরা বেদকে স্মৃতির মূল বলে” উল্লেখ করেছেন,- কিন্তু বেদ যে শূদ্ররীতি কিম্বা বৌদ্ধ নীতির মূল, এ কথা তারা কখনও মুখে আনেন নি; বরং বৌদ্ধাচার্যোরা যখন বেদের কোন উৎসন্ন শাখা থেকে বৌদ্ধধৰ্ম্ম উদ্ভূত হয়েছে এই দাবী করতেন, তখন বৈদিক ব্ৰাহ্মণের কানে হাত দিতেন। অথচ এ কথা অস্বীকার করবার যে নেই যে, ইতিহাস যে প্রাচীন সাম্রাজ্যের পরিচয় দেয়, তা বৌদ্ধযুগে ব্রাতাদেশে শূদ্ৰ-ভূপতিকর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মগধের নন্দবংশও শূদ্ৰবংশ, মৌৰ্য্যবংশও শূদ্ৰবংশ ছিল। এবং অশোক, সমগ্ৰ ভারতবর্ষে শুধু রাজচক্র নয়, ধৰ্ম্মচক্রেরও স্থাপনা করে, সসাগর বসুন্ধরার সার্বভৌম চক্ৰবৰ্ত্তীর পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। সুতরাং এক-রাষ্ট্রীয়তার মূল বৈদিক মনে পাওয়া যাবে কি না-সে বিষয়ে স্বতই সন্দেহ উপস্থিত হয়। " বৌদ্ধযুগের পূর্বে কোন একরাটের পরিচয় ইতিহাস দেয় না। কিন্তু ইতিহাসের পশ্চাতে কিম্বদন্তী আছে,-সেই কিম্ব