পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের ঐক্য। S89) পেয়, রাজসূয়, অশ্বমেধ, পুনরাভিষেক, ঐন্দ্ৰ মহাভিষেক,-এ সব হচ্ছে যজ্ঞ। এবং এ সকল যজ্ঞের উদ্দেশ্য রাজ্যস্থাপনা নয়, পুরোহিতকে ভূরি দান করানো এবং ঐ রূপ যজ্ঞ দ্বারা যজমানের অভু্যদয় সাধিত হ’তে পারে, তাই প্রমাণ করা। রাধাকুমুদীবাবু তার পুস্তিকাতে, পুরাকালে যারা একরাট পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তাদের নামের একটি লম্বা ফর্দ “ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ” হ’তে তুলেছিলেন। সম্ভবত তিনি উক্ত রাজাগণের সার্বভৌম সাম্রাজ্য লাভ ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মনে করেন, কিন্তু আমরা তা পারিনে, কারণ উক্ত ব্ৰাহ্মণের মতে, ঐন্দ্ৰ মহাভিষেকের বলেই প্ৰাচীন রাজারা ঐ ইন্দ্ৰ-বাঞ্ছিত পদলাভ করেছিলেন। মন্ত্রবলে এবং যজ্ঞফলে তাদৃশ বিশ্বাস না থাকার দরুণ আমরা উক্ত রাজযজমানদের ঐ রূপ আত্যন্তিক অভু্যুদয়, এবং রাজপুরোহিতদের তদনুরূপ দক্ষিণােলাভের ইতিহাসে যথেষ্ট আস্থা স্থাপন করতে পারিনে। রাধাকুমুদ বাবু নামের ফর্দের পাশাপাশি যদি দানের ফৰ্দটি তুলে দিতেন, তাহ’লে পাঠকমাত্রেই “ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ”-এর কথা কতদূর প্রামাণ্য, তাহা সহজেই বুঝতে পারতেন। ঐন্দ্ৰ মহাভিষেক উপলক্ষ্যে নিম্নলিখিতরূপ দান করা হত বদ্ধ শতকোটী গাভীর মধ্যে প্রতিদিন মাধ্যন্দিন সবনে দুই দুই সহস্ৰ । আটাশী হাজার পৃষ্ঠবাহনযোগ্য শ্বেত অশ্ব। এদেশ ওদেশ হইতে আনীত निश् कछी था5ा श्डाब्र भक्षा प्रभ नश्य। এরূপ দানের দাতা দুর্লভ হ'লেও,গ্ৰহীতা আরও বেশি দুর্লভ। এত গরু এত ঘোড়া এত বনিতা রাখি কোথায় আর খাওয়াই কি, এ প্রশ্ন বোধ হয় দরিদ্র ব্রাহ্মণের মনে উদিত হ’ত। ব্ৰাহ্মণগ্রন্থ এই সত্যেরই পরিচয় দেয় যে, সে যুগে এমন বহু ক্ষত্ৰিয় ছিলেন র্যাদের নিজেদের কোষ-বৃদ্ধি, এবং অধিকার-বৃদ্ধির প্রতি