পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28७ नॉन-कथी । মতে এই law-এর মূল হচ্ছে বেদ, স্মৃতি, সদাচার ও আত্মতুষ্টি। রাজশাসন অর্থাৎ, legislation যে ধৰ্ম্মের মূল হতে পারে, এ কথা ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে স্বীকৃত হয় নি। রাজা ধৰ্ম্মের রক্ষক, স্ৰষ্টা নন। অপরপক্ষে কৌটিল্যের মতে রাজশাসন সকল-ধৰ্ম্মের উপরে। এ কথা বৈদিক ব্ৰাহ্মণ কখনই মেনে নেন নি,- কেননা তঁদের মতে ধৰ্ম্মের মূল হচ্ছে বেদ ; অতএব ধৰ্ম্ম আপৌরুষেয়। তার পরে আসে স্মৃতি, অর্থাৎ আৰ্য্য ঋষিদের স্মৃতি,-"তার পর সদাচার, অর্থাৎ আর্য্যদের কুলাচার,-তার পর আত্মতুষ্টি, অর্থাৎ বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণের আত্মতুষ্টি। এক কথায় ধৰ্ম্মশাস্ত্রর মতে-“পারম্পৰ্য্যক্ৰমাগত” আৰ্য-আচারই একমাত্র এবং সমগ্র Law, যারা এরূপ মনোভাব পোষণ করতেন, তঁরা চন্দ্ৰগুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং চাণক্য কর্তৃক ব্যাখ্যাত রাজনীতি কখনই স্বচ্ছন্দ মনে গ্ৰাহ করতেন না । সম্ভবত এই কারণেই, চাণক্য নিজে ব্ৰাহ্মণ হ’লেও, সংস্কৃত সাহিত্যে হিংসা প্রতিহিংসা ক্ৰোধ দ্বেষ ক্ৰন্থরতা ও কুটিলতার অবতারস্বরূপ বৰ্ণিত হয়েছেন, এবং একই কারণে ব্ৰাহ্মণ-সমাজে তার অনাদৃত গ্ৰন্থ লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বৌদ্ধধৰ্ম্ম এবং সেই সঙ্গে মৌৰ্য-সাম্রাজ্যের অধঃপতনের সকল কারণ আমরা অবগত নই। যখন সে ইতিহাস আবিস্কৃত হবে, তখন সম্ভবত আমরা দেখতে পাব যে, এ ধ্বংস-ব্যাপারে বৈদিক ব্ৰাহ্মণের যথেষ্ট হাত ছিল। এ কথা বোধহয় নিৰ্ভয়ে বলা যেতে পারে যে, ভারতবাসী আৰ্যদের কৃতিত্ব সাম্রাজ্য-গঠনে নয়-সমাজ-গঠনে ; এবং তঁাদের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় শিল্পে-বাণিজ্যে নয়-চিন্তার রাজ্যে। শাস্ত্রের ভাষায় বলতে হলে “পৃথিবীর সর্ব-মানবকে” আৰ্যআচার শিক্ষা দেওয়া, এবং সেই আচারের সাহায্যে সমগ্র