পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ নানা কথা। প্রকৃতিকে ইউরোপীয়ের হাজার বৎসর ধরে বিমাতা মনে করে আসছিল, তাকে তারা সেবাদাসীতে পরিণত করতে ব্যগ্র হয়ে ॐन । धारे नत्रऔबन-भिप्छ, विख्रांप्न, कांदा, शेडिशन, বিকশিত হয়ে উঠল। এককথায় নবজীবন লাভ করে মানুষের চোখ-কান ফুটল এবং হাত-পায়ের খিল খুলে গেল। এর পরবর্তী যুগে জৰ্ম্মানী বাইবেলের আবিষ্কারের সঙ্গে নিজের আত্মারও আবিষ্কার করলে ;-মানুষে এই সত্যের পরিচয় পেলে যে, ধৰ্ম্মের মূল তার নিজের অন্তরে, ধৰ্ম্মযাজকের মুখে নয়। খৃষ্টের ধৰ্ম্মের পরিচয় লাভ করে মানুষে খৃষ্টসঙ্ঘের সংস্কারের জন্য উৎসুক হয়ে উঠল। জৰ্ম্মানীর এই নবসংস্কারের গুণে ইউরোপের মানবশক্তি আবার অন্তমুখী হল। মানুষ আত্মদর্শনের জন্য লালায়িত হয়ে উঠল। * এই রেনেসঁসের ফলে ইউরোপে মানুষের কৰ্ম্মবুদ্ধি এবং এই রিফরমেশনের ফলে তার ধৰ্ম্মবুদ্ধি মুক্তিলাভ করলে; কিন্তু তার সামাজিক জীবনের বিশেষ কোনও পরিবর্তন ঘটল না। তারপর ফ্রান্সের বিপ্লবের ফলে ইউরোপীয় মানব মধ্যযুগের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা থেকে মুক্তিলাভ করে জীবনেও স্বাধীনতা লাভ করলে। সুতরাং ইউরোপের নবযুগের সভ্যতায় মানুষ তার মনুষ্যত্ব ফিরে পেলে,-হারাল না। যে মনোভাবের উপর এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত তা শান্তির পক্ষে অনুকূল বই প্রতিকূল নয়। সামাজিক স্বাধীনতা যে সামাজিক মৈত্রীর প্রতিবন্ধক নয়, তার প্রমাণ এই যুদ্ধেই পাওয়া যায়। আজ দেখা যাচ্ছে যে, ইউরোপের এক একটি জাতি যেন এক একটি ব্যক্তিস্বরূপ হয়ে উঠেছে; মধ্যযুগে এরূপ একজাতীয়তার ভাব মানুষের কল্পনারও अडौऊ छिल।