পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&१8 নানা-কথা। খৃষ্টধৰ্ম্ম যে এসিয়ায় জন্মলাভ করেছে তার কারণ, এসিয়াবাসীরা দাসের জাতি, সুতরাং তাদের সকল ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম দাসমনোভাবের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই এসিয়ার cancer ইউরোপের দেহ হতে সমূলে উৎপাটিত করতে হলে অস্ত্ৰচিকিৎসা | ব্যতীত উপায়ন্তর নাই। ইউরোপের নব-যুগের সাম্য মৈত্রী প্রভৃতি মনোভাব ঐ প্রাচীন রোগের নূতন উপসর্গ মাত্র। সুতরাং ফরাসী ইংরাজ প্রভৃতি যে সকল জাতির দেহে এই সকল রোগের লক্ষণ দেখা যায়, তাদের উচ্ছেদ করা জৰ্ম্মান ক্ষত্রিয়দের পক্ষে একান্ত কৰ্ত্তব্য। Nietzsche-র এই মত জৰ্ম্মানজাতির মনে যে বসে গেছে, তার কারণ Nietzsche কালি-কলমে লেখেন নি, তার প্রতি অক্ষর বাটালি দিয়ে (शां । জৰ্ম্মান-পণ্ডিতদের মত, কেবলমাত্ৰ জাতীয় স্বার্থের জন্য নয়, লোকহিতের জন্যও, জৰ্ম্মানীর পক্ষে দিগ্বিজয় করা আবশ্যক। জেনেরাল বেয়ারণাহাডি বলেন “german labour KR german idealism-4: 25t: 31st, tri-Stift: উদ্ধার | হবে না। সুতরাং যেমন তরবারির সাহায্যে পৃথিবীসুদ্ধ লোককে জাৰ্ম্মান-মাল গ্ৰাহ করাতে হবে, তেমনি ঐ একই উপায়ে জৰ্ম্মান-তত্ত্বকথাও গ্রাহ্য করতে হবে । এই হচ্ছে জৰ্ম্মানীর বিধিনির্দিষ্ট কৰ্ম্ম।” এস্থলে জৰ্ম্মান-idealism-এর অর্থ কাণ্ট-প্রভৃতির দর্শন নয়; কেননা বেয়ারনহার্ডি কাণ্টপ্রমুখ দার্শনিকদের অতি অবজ্ঞার চক্ষে দেখেন। বেয়ােরনহার্ডির মতে এই সকল বাহাজ্ঞানশূন্য বিষয়-বুদ্ধিহীন দার্শনিকদের অমার্জনীয় অপরাধ এই যে, তারা। বিশ্বমানবের কাছে শান্তির বারতা ঘোষণা করেছিলেন। জৰ্ম্মানী।