পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূতন ও পুরাতন। Sy) বিপিনবাবুর মুখের কথায় যদি এই বিরোধের সমন্বয় হয়ে যায়, তাহলে আমরা সকলেই আশীৰ্বাদ করব যে, তার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক। ( ७ ) দু’টি পরস্পর-বিরোধী পক্ষের মধ্যস্থতা করতে হ’লে নিরপেক্ষ হওয়া দরকার, অথচ একপক্ষ-না-একপক্ষের প্রতি টান থাকা মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক। বিপিনবাবুও এই সহজ মানবধৰ্ম্ম অতিক্রম করতে পারেন নি। তার নানান উল্টোপাল্টা কথার ভিতর থেকে তার নূতনের বিরুদ্ধে নূতন বঁাজ ও পুরাতনের প্রতি নূতন ঝোঁক ঠেলে বেরিয়ে পড়েছে। উদাহরণ স্বরূপ র্তার একটি কথার উল্লেখ করছি। সকলেই জানেন যে, পুরাতন, সংস্কারের নাম শুনতে পারে। না, কারণ সুপ্তকে জাগ্রত করবার জন্য নূতনকে পুরাতনের গায়ে হাত দিতে হয়-তাও আবার মোলায়েমভাবে নয়,- কড়াভাবে। বিপিনবাবু তাই সংস্কারকের উপর গায়ের ঝাল। ঝেড়ে নিজেকে ধরা দিয়েছেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে, পালমহাশয়, যারা সমাজকে বদল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে, আর যারা সমাজকে অটল করতে চায় তাদের পক্ষে। : বিপিন বাবু বলেন“দুনিয়াটা সংস্কারকের সৃষ্টিও নয়, আর সংস্কারকের হাত পাকাইবার खछ ग्रुछे० श् नाझे।” দুনিয়াটা যে কি কারণে সৃষ্টি করা হয়েছে তা আমরা জানি নে, তার কারণ সৃষ্টিকৰ্ত্তা আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ও-কাজ করেন নি। তবে তিনি যে পালমহাশয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে