পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እb”8 নানা-কথা । সৃষ্টি করেছেন, এমনও ত মনে হয় না। কারণ, দুনিয়া আর যে জন্যই সৃষ্ট হৌক, বক্তৃতাকারের গলা সাধবার জন্য হয় নি। সৃষ্টির পূর্বের খবর আমরাও জানি নে, বিপিনবাবুও জানেন না; কিন্তু জগতের সঙ্গে মানুষের কি সম্পর্ক তা আমরা সকলেই অল্পবিস্তর জানি। মেচ্ছ-ভাষায় যাকে দুনিয়া বলে, হিন্দু দর্শনের ভাষায় তার নাম—“ইদং”। ডাক্তার ব্ৰজেন্দ্র শীল “নারায়ণ” পত্রে সেই ইন্দং-এর নিম্নলিখিত পরিচয় शि0छ्न “ইন্দংকে। যে জানে, যে ইন্দং-এর জ্ঞাতা ও ভোক্তা, আপনার কৰ্ম্মের DDB B DDBDD BDDS S yBBBD BBBD BDB DBBD DDBDD এই ইদিং-এর সম্পর্কে কৰ্ত্তাও বলা যায়, সেই মানুষ অহং পদবাচ্য।” । অর্থাৎ মানুষ দুনিয়ার জ্ঞাতা ও কৰ্ত্তা। শুধু তাই নয়, মানুষ ইদং-এর কৰ্ত্তা বলেই তার জ্ঞাত। মনোবিজ্ঞানের মূল সত্য এই যে, বহির্জগতের সঙ্গে মানুষের যদি ক্রিয়া ও প্রাতক্রিয়ার কারবার না থাকত, তাহ’লে তার কোনওরূপ জ্ঞান আমাদের মনে জন্মাত না। মানুষের সঙ্গে দুনিয়ার মূলসম্পর্ক ক্রিয়াকৰ্ম্ম নিয়ে। আমাদের ক্রিয়ার বিষয় না হ’লে, দুনিয়া আমাদের জ্ঞানের বিষয়ও হত না-অৰ্থাৎ তার কোনও অস্তিত্ব থাকত না। এবং সে ক্রিয়াফল হচ্ছে ইন্দং-এর “পরিচালন ও পরিবর্তন”,-আজিকালিকার ভাষায় যাকে বলে ংস্কার। সৃষ্টির গুঢ়তত্ত্ব না জানলেও মানুষে এ কথা জানে যে, তার জীবনের নিত্য কাজ হচ্ছে সৃষ্ট পদার্থের সংস্কার করা। মানুষ যখন লাঙ্গলের সাহায্যে ঘাস তুলে ফেলে ধান বোনে, তখন সে পৃথিবীর সংস্কার করে। মানুষের জীবনে এক কৃষি ব্যতীত অপর কোনও কাজ নেই। এই দুনিয়ার জমিতে