পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ङल, सून, व्युंख्रि । Sc ব’লে এদেশের গৃহ দুভাগে বিভক্ত হওয়া দরকার। এক অংশ বায়ুর পক্ষে যথেষ্ট খোলা, অপর অংশ সূৰ্য্যের পক্ষে যথেষ্ট রুদ্ধ। পৃথিবীর সর্বত্রই পঞ্চভূত মিলে মানুষের গৃহনিৰ্ম্মাণের হিসাব বাৎলে দেয়। প্রকৃতিই এদেশের গৃহ, সদর এবং অন্দরে ভাগ করতে শিখিয়েছিলেন। এবং আমাদের সমাজের গঠনও গৃহের গঠনের অনেকটা অনুসরণ করেছে। এই কারণে গ্রীষ্মপ্ৰধান দেশেই অবরোধ একটি সামাজিক প্ৰথা। আমার বিশ্বাস, এই কড়া রোদ এবং চড়া আলোর দেশে অসূৰ্য্যাম্পশ্যা হ’বার লোভেই রমণীজাতি স্বেচ্ছায় অন্তঃপুরবাসিনী হয়েছেন। যেখানে গৃহে স্ত্রী-পুরুষের স্বতন্ত্র রাজ্যের সীমা নির্দিষ্ট নেইসেখানে সমাজেও স্ত্রী-পুরুষের সাম্য অর্থে ঐক্য-এই ভুল বিশ্বাস জন্মলাভ করে। ইংরেজিয়ানার প্রসাদে আমাদের বাসগৃহের সদর অন্দর ভেস্তে যাবার প্রধান ফল এই যে, আমাদের স্ত্রীপুরুষ উভয়েই গৃহে অনেকটা সন্ধুচিত ভাবে বাস করে। আমাদের ড্রয়িং রুম পাড়া-পড়সীর বৈঠকখানা হতে পারে না, এবং বাড়ীর কোন অংশই মেয়েদের দুর্গ নয়। এ দেশটি যে বিদেশ, সেটা সর্বদা মনে জাগরকে রাখবার জন্য ইংরাজ দেশীয় সমাজ হতে BDDBDD DB BBBDBDBS DDD DBB BDDB BDBDDD K DDB S আমরা তাদের অনুকরণে বাসা বঁধলে, অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্ব-সমাজ হতে দূর হয়ে পড়ি। মােটামুটি আমার বক্তব্য কথা এই, মানুষমাত্রেরই দেশের সঙ্গে প্রধান যোগ গৃহ দিয়ে; স্বদেশীয়তার গোড়াপত্তন ঐখানেই, গৃহসূত্ৰ হ’তেই মানবধৰ্ম্মশাস্ত্রের উৎপত্তি। গৃহের রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে গৃহীর রূপান্তরও অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু এসব সত্ত্বেও আমি কাউকে বাড়ী বদলানোর পরামর্শ দিয়ে লোকসমাজে নিজেকে বিষয়বুদ্ধিহীন বলে প্রমাণ করতে রাজি ।