পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्ठुउरुङ बलुg कि ? est বহির্জগতে যদি একক্ষেত্রে নানা ফুল ফোটে, তাহ’লে মনো- ৷ জগতের যে-কোনো ক্ষেত্রে অসংখ্য বিভিন্ন জাতীয় ফুল ফোটবার কথা। কেননা খুব সম্ভব মনোজগতের ভূগোল আমাদের পরিচিত ভূগোলের অনুরূপ নয়। সে জগতে দেশভেদ থাকলেও পরস্পরের মধ্যে অন্তত অলঙ্ঘ্য পাহাড়-পর্বতের ব্যবধান নেই, এবং মানুষের হাতে-গড়া সে রাজ্যের সীমান্তদুৰ্গসকল এ যুগে নিত্য ভেঙে পড়ছে। ভাবের বীজ হাওয়ায় ওড়ে এবং সকল দেশেই অনুকুল মনের ভিতর সমান অঙ্কুরিত হয়। সুতরাং বাঙলা-সাহিত্যে লিলি ফুটলে অতিকে ওঠবার কোন কারণ নেই। রাধাকমলবাবু বলেছেন “জাতীয় মনের ক্ষেত্র হইতেই কবির মন রস সঞ্চয় করে।” . . . .. G***' যদি একথা সত্য হয় তাহ’লে যদি কোনও কাব্য শুষ্ক কাষ্ঠ মাত্র হয়, তাহ’লে তার জন্য কবি দায়ী নন, দায়ী হচ্ছে সামাজিক মন । জাতীয় মন যদি নীরস হয় তাহ’লে কাব্য কোথা হতে রস সঞ্চয় করবে ? উপমান্তরে দেশ-মাতার স্তনে যদি দুগ্ধ না থাকে, তাহ’লে তঁর কবিপুত্ৰকে যে পেচোয় পাবে তাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? কিন্তু রাধাকমলবাবুর এ মত সম্পূর্ণ সত্য নয়। কবির মনের সঙ্গে জাতীয় মনের যোগাযোগ থাকলেও কবিপ্ৰতিভা সামাজিক মনের সম্পূর্ণ অধীন নয়। রাধাকমলবাবু উদ্ভিদ-জগৎ হতে যে উপমা দিয়েছেন, äö(gt(?! (Ik materialism-4* যুগে ঐ উপমাটি জড়াজগৎ ও মনোজগতের মধ্যে যোগসাধনের সেতুস্বরূপ ব্যবহৃত হত। মাটি জল আলো ও বাতাস প্রভৃতির যোগাযোগে জীব সৃষ্ট হয়েছে এবং জীবের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ফলে তার মনের