পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। उडिडांव । २२> মনোভাবকে সঙ্কীর্ণ বলেন, আমি তাহাকেই প্ৰকৃত উদার মনোভাবের ভিত্তিস্বরূপ জ্ঞান করি। যে স্থলে কোন অংশের প্রতি গ্ৰীতি নাই, সেস্থলে সমগ্রের প্রতি ভক্তির মূল কোথায় তাহা । আমি খুজিয়া পাই না। অনেক সময়ে দেখা যায় যে, যে মনোভাবকে অতি উদার বলা হয় তাহার কোনরূপ ভিত্তি নাই। বাঙলাদেশের সহিত, বাঙলার ইতিহাসের সহিত, বঙ্গ-সাহিত্যের সহিত কিছুমাত্র পরিাচয় নাই। অথচ বঙ্গমাতার নামে মুগ্ধ, এইরূপ লোক আমাদের শিক্ষিত সমাজে বিরল নহে। রাজনীতির ক্ষেত্রে ইহাদের প্রতাপ দুৰ্দান্ত এবং প্রতিপত্তি অসীম। এইরূপ উদার মনোভাবের অবলম্বন কোন বস্তুবিশেষ নয়,-কিন্তু একটি নামমাত্র। এইরূপ স্বদেশ-গ্ৰীতির মূল-হৃদয়ে নয়, মস্তিষ্কে। এইরূপ স্বদেশী মনোভাব বিদেশী পুস্তক হইতে সংগৃহীত। এইরূপ পুথিজাত এবং পুথিগত পেটিয়টিজমের সাহায্যে রাষ্ট্রগঠন করা যায় কি যায় না। তাহা আমার অবিদিত, কিন্তু সাহিত্য যে সৃষ্টি করা যায়। DD DB BBB BBDO DBYD DDD S BBB BDD DDD অস্বীকার করি না। স্বদলবলে উচ্চৈস্বরে নামকীৰ্ত্তন করিতে করিতে মানুষে দশাপ্ৰাপ্ত হয়। কিন্তু ঐ রূপ ক্ষণিক উত্তেজনার প্ৰসাদে পৃথিবীর কোন কাৰ্য সুসিদ্ধ হয় না। সিদ্ধি সাধনার অপেক্ষা রাখে এবং সাধনা স্থিরবুদ্ধির অপেক্ষা রাখে। সুতরাং তথাকথিত সঙ্কীর্ণ প্রদেশ-বাৎসল্য যদি এই জাতীয় উদার মানু ভাবের বিরোধী হয়, তাহা হইলে এইরূপ সঙ্কীর্ণ মনোভাবের চৰ্চা করা আমি একান্ত শ্রেয় মনে করি । কিন্তু আসলে এ সকল অভিযোগের মূলে কোনও সত্য নাই। কেননা একমাত্র সাহিত্যই এ পৃথিবীতে মানব-মনের সকলপ্রকার সঙ্কীর্ণতার