পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टडिडास । RRS অবজ্ঞা দেখানো হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ, প্ৰকাশ্যে কেহ এ কথার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ করাও আবশ্যক মনে করেন নাই। কবির কবিত্ব এবং বিদূষকের ভাঁড়ামি সুবুদ্ধি চিরকালই হাসিয়া উড়াইয়া দেয়। আজ মাতৃভাষার চর্চা করিতে বলিলে কাহারও ধৈৰ্য্যচুক্তি হয় না, কেননা ইতিমধ্যে সে ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-কোণে একটুখানি স্থান লাভ করিয়াছে। এমন কি, শ্ৰীযুক্ত আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের পাষাণমূৰ্ত্তির পাদপীঠে এই শিলালিপি উৎকীর্ণ করা হইয়াছে-ৰ্তাহার যত্ন at Sists Cbst: The mother's tongue has been put in the step-mother's hall-affe, finists elitics মাতার রসনা স্থাপিত হইয়াছে। দেশসুদ্ধ লোক ইহা গৌরবের কথা মনে করিতেছেন। কিন্তু বিমাতার মন্দিরে মাতৃভাষা যে অদ্যাপিও যথাযোগ্য স্থান লাভ করেন নাই-ঐ বিমাতৃভাষায় উৎকীর্ণ শিলালিপিই তাহার পরিচয় । এবং উক্ত লিপি ইহাও প্ৰমাণ করিতেছে যে, ভাষাসম্বন্ধেও আত্মবিশ হওয়াই সুখের এবং পরবশ হওয়াই দুঃখের কারণ। সত্যকথা এই যে, মাতৃভাষার সাহায্যেই আমরা যথার্থ ভাষাজ্ঞান লাভ করি এবং সে জ্ঞানের অভাবে আমরা পরিভাষাও যথার্থীরাপে আয়ত্ত করিতে পারি না । যেদিন আমাদের সকল বিদ্যালয়ে মাতৃভাষা প্রাধান্য লাভ করিবে: এবং ইংরাজী ভাষা দ্বিতীয় আসন গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হইবে সেইদিন বঙ্গসন্তান যথার্থ শিক্ষালাভের অধিকারী হইবে। একদিন যেমন বাঙলা পড়িতে বলিলে অনেকে মনে প্ৰমাদ গণিতেন-আজ তেমনি বাঙলা লিখিতে বলিলে অনেকে মনে মনে প্ৰমাদ গণেন। সে কালে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এই যে, আমরা নবশিক্ষার অভিজাত্য নষ্ট করিতে উদ্যত