পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ डडांव। रै७6१ এবং সংস্কৃত অভিধানেও নাই। এবং এই সকল কণ্টকল্পিত পদই এখন বঙ্গ-সাহিত্যের প্রধান সম্বল। নিতান্ত দুঃখের বিষয় এই যে, এই সকল নব শব্দ গড়িবার কোনই আবশ্যকতা ছিল না। ংস্কৃত দর্শনে বিজ্ঞানে কাব্যে অলঙ্কারে যথেষ্ট শব্দ আছে, যাহার সাহায্যে আমরা আমাদিগের নবশিক্ষালব্ধ সকল মনােভাব বঙ্গভাষার জাতি ও প্ৰকৃতি রক্ষা করিয়া অনায়াসে ব্যক্তি করিতে পারি। আমরা তথাকথিত সাধু ভাষার বিরোধী, কেননা আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গভাষা ব্রাত্য-সংস্কৃতও নহে, শাপভ্ৰষ্ট ইংরাজিও নহে। এই কারণে আমরা মৌখিক ভাষাকে সাহিত্যে প্ৰতিষ্ঠিত করিতে চাই ; কারণ সে ভাষা সহজ সরল সুঠাম এবং সুস্পষ্ট। সুতরাং আমাদের এ চেষ্টা যে মাতৃভাষার বিরুদ্ধে বিদ্রোহমূলক, এ অভিযোগের কোনরূপ বৈধ কারণ নাই। যদি কেহ বলেন যে, “মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ”, সুতরাং সে পথ অনুসরণ না করা ধৃষ্টতামাত্র, তাহার উত্তরে আমরা বলিব, বঙ্গ-সাহিত্যের মহাজনেরা যুগভেদ এবং শিক্ষাভেদ-অনুসারে নানা বিভিন্ন পথের পথিক । দর্শনের ন্যায় সাহিত্য-ক্ষেত্রেও মার্গভেদ আছে ; আমাদের পূর্ববৰ্ত্তী মহাজনেরা এই ভাষা লাইয় experiment করিয়াছেন ; সুতরাং নূতন experiment করিবার অধিকার আমাদের আছে। গদ্য-সাহিত্যের বয়স । এখন সবে একশ বৎসর, কাজেই তাহার পরীক্ষার বয়স আজও পার হয় নাই। টোলের ও কলেজের বাহিরে যে ভাষা মুখে মুখে চলিতেছে, সে ভাষার অন্তরে কতটা শক্তি আছে, সে পরীক্ষা আজ পৰ্যন্ত করা হয় নাই। আমরা সেই পরীক্ষা করিতে চাই। লোকে বলে যখন প্ৰাক-ব্রিটীশ যুগে গদ্য ছিল