পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३४७ नान-कथा । না, তখন গত-শতাব্দীর গদ্যই আমাদের একমাত্র আদর্শ। আমরা নিত্য যে ভাষায় কথাবাৰ্ত্তী কই তাহারই নাম যে গদ্য, এ সত্য মোলিয়োরের নাটকের নিরক্ষার ধনী বণিকের জানা ছিল না, কিন্তু আমাদের আছে। সাহিত্যে সেই সনাতন আদৰ্শই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। আমি ভাষা সম্বন্ধে এত কথা বলিলাম। তাহার কারণ, এইরূপ সভাসমিতিতে সাহিত্যের যাহা সাধারণ সম্পত্তি তাহার আলোচনা এবং তাহার বিচার হওয়াই সঙ্গত । ( . ) সংস্কৃত অলঙ্কার-শাস্ত্ৰে ভাষার নাম কাব্য-শরীর; কিন্তু এ শরীর ধর-ছাঁয়ার মত পদাৰ্থ নয় বলিয়া যাহারা এ পৃথিবীতে। শুধু স্কুলের চর্চা করেন, সাহিত্যের প্রতি র্তাহাদের চিরদিনই একটি আন্তরিক অবজ্ঞা থাকে এবং ইংরাজি শিক্ষিত-সম্প্রদায়ের নিকট অর্বাচীন বঙ্গ-সাহিত্যই বিশেষ করিয়া অবজ্ঞার সামগ্ৰী হইয়াছিল। এই বিরাট কুসংস্কারের সহিত সম্মুখ-সমরে প্রবৃত্ত হইবার শক্তি ও সাহস পূর্বে ছিল কেবলমাত্র দু'চারিজন ক্ষণজন্ম পুরুষের। কিন্তু সাহিত্যচৰ্চা যে জীবনের একটি মহৎ কাজ, এ ধারণা যে আজ বাঙ্গালীর মনে বদ্ধমূল হইয়াছে তাহার প্ৰত্যক্ষ প্রমাণ এই সম্মিলনী। আমাদের নব শিক্ষার প্রসাদে আমরা জানি যে, সাহিত্য জাতীয়-জীবন-গঠনের সর্বপ্রধান। উপায়, কেননা সে জীবন মানবসমাজের মনের ভিতর হইতে গড়িয়া উঠে। মানুষের মন সতেজ ও সজীব না হইলে মানবসমাজ ঐশ্বৰ্য্যশালী হইতে পারে না। যে মনের ভিতর জীবনী