পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&डिङांक्षी ! २७१ শক্তি আছে তাহার স্পর্শেই অপরের মন প্ৰাণলাভ করে এবং মানুষে একমাত্র শব্দের গুণেই অপরের মন স্পর্শ করিতে পারে। অতএব সাহিত্যই একমাত্র সঞ্জীবনী মন্ত্র। আমাদের সামাজিক জীবনের দৈন্য জগৎবিখ্যাত এবং সে দৈন্য দূর করিবার জন্য আমরা সকলেই ব্যগ্ৰ । এই কারণেই শিক্ষিত লোকমাত্রেরই দৃষ্টি অ্যাজ সাহিত্যের উপর বদ্ধ। সাহিত্যই আমাদের প্রধান ভরসা স্থল বলিয়াই বৰ্ত্তমান সাহিত্যের প্রতি আমাদের অসন্তোষ ও নানা আকারে প্রকাশ পাইতেছে। এ অসন্তোষের কারণ এই যে, লোকে সাহিত্যের নিকট যতটা আশা করে, প্রচলিত সাহিত্য সে আশা পূর্ণ করিতে পারিতেছে। না । কাজেই নানা দিক হইতে নানা ভাবে নানা ভঙ্গীতে নানা লোকে এই শিশুসাহিত্যের উপর আক্ৰমণ করিতেছেন। এই সকল সমালোচনার মোটামুটি পরিচয় নেওয়টা আবশ্যক। ( so ) আজ আমরা সকলে মিলিয়া এ সাহিত্যের জাতবিচার করিতে বসিয়াছি। এ নবপণ্ডিতের বিচার, ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতের বিচার নহে। কেননা বঙ্গ-সাহিত্য স্বজাতীয় কি বিজাতীয়,- সে বিচার ইউরোপীয় শাস্ত্রের অধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা: ইউরোপীয় সাহিত্যের পুষ্পচয়ন করি আর না করি, ইউরোপীয় শাস্ত্রের পল্লব যে গ্ৰহণ করি, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। আমাদের নব সমালোচকেরা প্ৰধানত দুই শাখায় বিভক্ত। একদলের অভিযোগ এই যে, নব সাহিত্য জাতীয় নয়, কেননা তাহা, প্রাচীন নয়। অপর দলের অভিযোগ এই যে, বৰ্ত্তমান সাহিত্য, জাতীয় নয়, কেননা তাহা লৌকিক নহে।