পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙলার সাক্ষাৎ লাভ করেন নাই। বোধ হয়। সেই কারণেই ইতিহাস, সরকার মহাশয়ের কোমল বাঙালী প্ৰাণে এত ব্যথা দেয়। “বাঙ্গলা-সাহিত্যে যে ইতিহাসের পর দর ইতিহাস, তাহার পর ছে-ইতিহাস দাখিল হইতেছে, আবার ইদানিং সওয়াল-জবাবও যে আরম্ভ হইয়াছে’, ইহা অক্ষয়বাবুর নিকট অর্থাৎ শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকারের নিকট একেবারেই অসহা। কেননা এ শ্রেণীর ইতিহাস রচনার জন্য মস্তিষ্ক চালনার প্রয়োজন আছে। অপরপক্ষে সরকার মহাশয়ের রচিত পুরাবৃত্ত কেবলমাত্র কল্পনা চালনার দ্বারাই সৃষ্ট হয় এবং তাহার গঠনে কিম্বা পঠনে বাঙালীর কোমলতা হারাইবার কোনও আশঙ্কা নাই। আমি সরকার মহাশয়ের মতামত এখানে উদ্ধৃত করিয়া দিলামকেননা নানা দিক হইতে ইহার প্রতিধ্বনি শোনা যায়। এ মতসম্বন্ধে কিছু বলা নিম্প্রয়োজন। এ সকল কথার মূল্য যে কত, তাহা নিৰ্দ্ধারণ করিতে কোনরূপ মস্তিষ্ক চালনার আবশ্যকতা নাই। বঙ্গ-সাহিত্য যতই শিশু হউক না কেন, আমার বিশ্বাস এরূপ আক্রমণে তাহ মারা যাইবে না । ( S) ) অপরাশ্রেণীর সমালোচকেরা আধুনিক কাব্য-সাহিত্যের বিরোধী। ইহাদের মতে সে সাহিত্য নেহাৎ বাজে, কেননা তাহা সমাজের কোনও কাজে লাগে না। বঙ্কিমচন্দ্র এবং রবীন্দ্রনাথের গদ্য ও পদ্যকাব্যসকল যদি সরকার মহাশয়ের বর্ণিত আলস্যজাত সুকুমার সাহিত্যু হয়, তাহা হইলে, সে কাব্য যে সম্পূর্ণ নিরর্থক এবং সৰ্বথা উপেক্ষণীয় সে বিষয়ে আর দ্বিমত