পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেল, शून्, লকড়ি r RS বান। কিন্তু ফলে কি দেখতে পাওয়া যায় ? ইউরোপবাসীরা এই বাহুল্যচর্চার দ্বারা জীবন অত্যন্ত ভারাক্রান্ত করে ফেলেছে। বলে’ কৰ্ম্মক্ষেত্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসিয়াবাসীদের নিকট সর্বত্রই হার মানছে। এই কারণেই দক্ষিণ-আফ্ৰিকা, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা প্ৰভৃতি দেশে চীনে, জাপানী, হিন্দুস্থানী শ্রমজীবীদের বিরুদ্ধে নানা গহিত বিধিব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসিয়াবাসীরা খাওয়া-পরাটা দেহধারণের জন্য আবশ্যক মনে করে, মনের সুখের জন্য নয়; সেইজন্য তারা পরিশ্রমের অনুরূপ পুরষ্কার লাভ করলেই সন্তুষ্ট থাকে। এই সন্তোষ আমাদের জাতিরক্ষার, জাতীয় উন্নতির প্রধান সহায়। আমরা যদি আমাদের পরিশ্রমের ফলের ন্যায্য প্রাপ্য অংশ লাভ করুতুম, আমরা যদি বঞ্চিত, প্রতারিত না হতুম, তাহলে দেশে অন্নের জন্য এত হাহাকার উণ্ঠত না। আমাদের এ দোষে কেউ দোষী করবেন না যে, আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করিনে। আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, আমাদের পরিশ্রমের ফল অপারে ভোগ করে । আমাদের দেশে আজকাল শিক্ষিত লোকের, বিশেষতঃ ইঙ্গ-বঙ্গসম্প্রদায়ের মনোভাব এই যে, standard of life বাড়ানো সভ্যতার একটি অঙ্গ। এ সর্বনেশে ধারণা তাদের মন থেকে যত শীঘ্ৰ দূর হয় ততই দেশের পক্ষে মঙ্গল। উপরোক্ত যুক্তি ছাড়া জীবনযাত্রার উপযোগী ইউরোপীয় সরঞ্জামের স্বপক্ষে আর কোন যুক্তি শুনেছি বলে ত মনে পড়ে না। তবে অনেকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে। বলে থাকেন, “আমার খুসি” ! আমাদের দেশের রাজা সমাজের অধিনায়ক নন। বিদেশী বিধৰ্ম্মী রাজা এদেশে কখন সামাজিক দলপতি হতে পারেন না-সুতরাং আমাদের সমাজে এখন অরাজকতা প্ৰবেশ করেছে। যে সমাজে শাস্ত্ৰ আছে কিন্তু