পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\s नन-थं । ঠাট প্রথম বয়সে, এবে বুড়া তবু কিছু গুড়া আছে শেষে।” স্বয়ং ভারতচন্দ্রের কবিতার যদি ঠাট্ট বাদ দেওয়া যায়, তাহ’লে যে গুড়া অৱশিষ্ট থাকে তাতে ফোটা দেওয়াও চলে না, কেননা সে গুড়া চন্দনের নয়। অথচ ভারতচন্দ্ৰ যে কবি, সে বিষয়ে আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই। নবীন কবিদের যে ভাবসম্পদ নেই, একথা বলায় আমার বিশ্বাস, কেবলমাত্ৰ অন্যমনস্কতার পরিচয় দেওয়া হয় । মহাকবি ভাস বলেছেন যে পৃথিবীতে ভাল কাজ করবার লোক সুলভ, চেনবার লোকই দুল্লভ। . মহাকাব্যের দিন যে চলে গেছে, তার প্রমাণ বৰ্ত্তমান ইউরোপেও পাওয়া যায় । সে দেশে কবিতা আজও লেখা হয়ে থাকে, কিন্তু হাতে-বহরে সে সবই ছোট। ফরাসী দেশের বিখ্যাত লেখক আঁদ্রে জীদ বলেন যে, গীতাঞ্জলি মুষ্টিমেয় না। হ’লে বর্তমান ইউরোপ তা করযোড়ে গ্ৰহণ করত না । তার ধারণা ছিল যে, ভারতবর্ষে রামায়ণ মহাভারতের চাইতে ছোট কিছু লেখা হয়নি এবং হতে পারে না। এ কথা অবশ্য সত্য নয়। সংস্কৃত সাহিত্যে যেমন একদিকে রামায়ণ মহাভারত আছে, অপরদিকে তেমনি দু-লাইন চার লাইন কবিতারও ছড়াছড়ি। ভারতবর্ষে পূর্বে যা ছিল না, সে হচ্ছে এ দুয়ের মাঝামাঝি কোনও পদার্থ। একালে আমরা যে ব্যাস বাল্মীকির অনুকরণ না করে, অমরু, ভকুঁহরির অনুসরণ করি, সে যুগধৰ্ম্মের প্রভাবে। যে কারণে ইউরোপে আর মহাকাব্য লেখা হয় না, সেই একই কারণে এ দেশেও মহাকাব্য লেখা স্থগিত রয়েছে। এ যুগের কবিতা হচ্ছে হৃদয়ের স্বগতোক্তি, সুতরাং সে উক্তি একটি দীর্ঘনিঃশ্বাসের চাইতে দীর্ঘ হতে পারে না। কিন্তু একালে