পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अलकाप्नन नूमांड। २१० ভঙ্গীতে দেখা দিয়েছে। এক ভাষা ব্যতীত এ সাহিত্যের অপর কোনই ঐক্য নেই। বৈদিক সাহিত্যের কথা ছেড়ে দিলেও সংস্কৃত-সাহিত্য প্রথমত প্রাচীন এবং নব্য এই দুই श्रर्षांश विड्ख् । कांत्रा ब्रन, अनष्क्रांद्र बन, प्रश्र्न रा, गर এই দুই শ্রেণীভুক্ত। তা ছাড়া দেশভেদে, রচনারীতিরও বহুতর প্রভেদ ছিল। এই নানা রীতির মধ্যে অন্তত এমন দুটি রীতি ছিল, যার একটি আর-একটির সম্পূর্ণ বিপরীত। দণ্ডী বলেছেন যে, যে-সকল গুণের সন্তাবে বৈদভীরীতির স্মৃষ্টি হয়, সেই সকল গুণের বিপৰ্য্যয়েই গৌড়ীরীতির জন্ম। শুধু দণ্ডী নয়, বামনাচাৰ্য্য প্রভৃতি সকল প্ৰাচীন আলঙ্কারিকেরা এ বিষয়ে একমত। শব্দাড়ম্বর, অনুপ্রাসের ঘনঘটা, সমাসবাহুল্য, অপ্ৰসিদ্ধার্থক শব্দের প্রয়োগ, অত্যুক্তি, পুনরুক্তি এই সবই হচ্ছে গৌড়ীরীতির সম্বল ও সম্পদ। এ গৌড় কোন গৌড় তা কারও জানা নেই, কেননা সেকালে ভারতবর্ষে পঞ্চগৌড় ছিল। তবু এই নামের গুণেই বাঙালী আজ গৌড়ীরীতিকে আত্মসাৎ করবার চেষ্টা করছে। কিন্তু কৃতকাৰ্য হ’তে পারছে না। এক “মেঘনাদবধ”-কার ব্যতীত অদ্যাবধি আর কেউ এ রীতিতে কৃতিত্ব লাভ করতে পারেন নি। আমরা গদ্য রচনায় যে রীতি অবলম্বন করেছি, সে হচ্ছে ইঙ্গ-গৌড়ীরীতি-কেননা ইংরাজি-গদ্যের অনুকরণ এবং অনুবাদ থেকেই বাঙলা-গদ্যের উৎপত্তি। এক্ষেত্রে লেখার একটা নূতন পথ ধরবার ইচ্ছে । হওয়াটা কারও কারও পক্ষে স্বাভাবিক। প্রচলিত পদ্ধতি ত্যাগ করে।” নূতন পদ্ধতি অবলম্বন করবার মুখে মহাতৰ্ক উপস্থিত হয়। আজকে বাঙলা-সাহিত্যে সেই তর্ক উঠেছে অর্থাৎ অলঙ্কারের Forts s’CICE I ○○