পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলঙ্কারের সূত্রপাত। રrt যে, তা শিব নয়। বিজ্ঞানের ইতিহাসে দেখতে পাই যে, যুগে যুগে এই শিবের দােহাই দিয়ে মানুষে সত্যকে পরাভূত করতে চেষ্টা করেছে। সুন্দর বেচারির ত কথাই নেই, শিব তা তার উপর চিরদিনই খড়গহস্ত। কমলাকান্ত বলেছেন যে, কোকিল সুন্দরের সাক্ষাৎ পেলে অমনি বলে ওঠে কু-উ। এবং তিনি এই বাচাল পক্ষীকে সম্বোধন করে কলেছেন যে “ষখনই দেখিবে, লতা সন্ধার বাতাস পাইয়া, উপযুপরি বিন্যস্ত পুষ্পস্তবক লইয়া দুলিয়া উঠিল, অমনি সুগন্ধের তরঙ্গ চুটিল, তখনই छाकिब्र दक्षि७ कू-डे ।” একালের সমালোচকরা যে কমলাকান্তের উপদেশ অনুসারে চলেন তার প্রমাণ এই যে, যেই কেউ বলেন, অমুক কাব্যে সৌন্দৰ্য্য আছে, অমনি সাহিত্য-শাসকেরা তর্জন গৰ্জন করে ওঠেন যে, তাতে বস্তুতন্ত্রতা নেই অর্থাৎ সত্য নেই এবং তাতে জাতীয়তা নেই অর্থাৎ শিব নেই। এই সমালোচকদের বৃদ্ধ শিব বহুকাল ইংরাজি-সাহিত্যের উপর উপদ্রব করে, সম্প্রতি সে দেশ থেকে বহিস্কৃত হয়ে বাঙলা-সাহিত্যের স্কন্ধে ভর করেছে। এরা ভুলে যান যে, আমাদের কাব্য জাতীয় কি বিজাতীয় তার বিচারক বিদেশীয়েরা। তার পর বস্তুর রূপ সমাজের দিক থেকে অর্থাৎ জীবনের দিক থেকে দেখলে একরকম দেখায়—আর কাব্যের দিক থেকে অর্থাৎ মনের দিক থেকে দেখলে আর-এক রকম দেখায়। যেমন বৈজ্ঞানিকেরা এ সকল সমালোচনা উপেক্ষা করে। সত্যের আবিষ্কার করেন, তেমনি শিল্পীরাও এ সকল সমালোচনা উপেক্ষা করে’ সুন্দরের সৃষ্টি করেন। যেমন জ্ঞানশাস্ত্রের একমাত্র জিজ্ঞাস্য হচ্ছে, এ তত্ত্ব সত্য কি না, তেমনি অলঙ্কার