পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেল, মুন, লক্ড়ি। ২৫ । আর্টের সন্ধান তার স্রষ্টার কাছে মেলে, দর্শক কিম্বা শ্রোতার | কাছে নয়। সৌন্দৰ্য স্মৃষ্টি করুবার ভিতর যেটুকু আনন্দ, প্ৰাণ ও ক্ষমতা আছে, সেইটুকু অনুভব করার নাম সৌন্দৰ্য্য ভোগ । করা। এ কথা যদি সত্য হয়, তাহলে যে আৰ্টিষ্টের সঙ্গে । আমাদের চরিত্রের, ধৰ্ম্ম এবং জ্ঞানের, রীতি এবং নীতির মিল আছে, আমরা অনেক পরিমাণে যার সুখ-দুঃখের ভাগী, যার সঙ্গে আমরা একই বাহা প্রকৃতির ভিতর, একই সমাজের অন্তভূত হয়ে বাস করি, তার আর্টই আমদের পক্ষে যথার্থ আর্ট। বিদেশী এবং বিজাতীয় আর্টের আদর কেবল কাল্পনিক মাত্ৰ। এই কারণেই আমাদের অনেকেরই পক্ষে বিদেশী আর্টের চর্চাটা লাঞ্ছনা মাত্র হয়ে পড়ে। আমরা প্ৰথমে বিদেশী দোকানদারের দ্বারা প্ৰবঞ্চিত হই, পরে নিজেদের মনকে প্ৰবঞ্চিত করি। আমাদের কাছে রূপের পরিচয় রূপিয়া দিয়ে। আমরা ছবি ; চিনিনে, তবু কিনি নাম দেখে এবং দাম দেখে। ইউরোপে যারা শিব গড়তে বােদর গড়ে, তাদেরই হস্ত-রচিত বিগ্ৰহ আমরা ংগ্রহ করে সুখী না হই, খুসি থাকি। আর্ট সম্বন্ধে ইউরোপের গােলামচাের হওয়ায়, লজ্জা পাওয়া দূরে যাক, আমাদের আত্মমৰ্য্যাদা বৃদ্ধি পায়। আমার মতের বিরুদ্ধে সহজেই এই আপত্তি উত্থাপিত হতে পারে যে, আমরা যদি ইউরোপীয় আর্টের মৰ্যাদা না । বুঝতে পারি, তাহ’লে ইউরোপীয় সাহিত্যে ও বিজ্ঞানের মৰ্যাদা বোঝা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। সুতরাং ইউরোপীয় | সাহিত্য, বিজ্ঞানচর্চাও আমাদের ত্যাগ করা কীৰ্ত্তব্য। এ আপত্তির উত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, বিভিন্ন দেশের লোকের ভিতর পার্থক্য যতই থাকুক, মানুষে মানুষে প্রবৃত্তির, বাসনার, । 8 . .