পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भान-कथ। ܓ݁ܶܘ9 call নয়। তঁরা স্পষ্ট বলেছেন যে, এ মূল “ন স্থিতি হেতুতয়া বৃক্ষস্যেব।” । আমরা যা খুজি তা হচ্ছে ধৰ্ম্মবৃক্ষের শিকড়। সে শিকড় সেকালে যখন বেদধৰ্ম্মে খুজে পাওয়া যায় নি। তখন একালে যে পাওয়া যাবে সে সম্ভাবনা অতি অল্প । মেধাতিথি বলেছেন—“বাহাধৰ্ম্ম সকলের স্মৃতিপরম্পরায় মূলান্তরও প্রাপ্ত হওয়া যায়”-কিন্তু সেই অপর মূল সকল যে কি, তা তিনি স্পষ্ট করে বলেন নি, তবে তার কথার ভাবে বোঝা যায় যে তিনি বাহােধৰ্ম্মের। প্ৰবৰ্ত্তক-পুরুষদেরই নিজ নিজ ধৰ্ম্মমতের মূলস্বরূপে গ্ৰাহ করেছিলেন। আমরা তাদের পিছনেও যাইতে চাই, এবং বুদ্ধ প্রভৃতির মত আৰ্য্যমত কি না বিশেষ করে জানতে চাই। আৰ্য শব্দ যদি Aryan শব্দের প্রতিবাক্য হয়, তাহলে বৌদ্ধ জৈন এবং বৈষ্ণব ধৰ্ম্মকেও আৰ্য্যধৰ্ম্ম বলে স্বীকার করবার পক্ষে আমি কোনরূপ বাধা দেখতে পাই নে। Aryan শব্দ জাতিবাচক এবং অতি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় । সে অর্থে সমগ্ৰ ইউরোপ আৰ্য, সে অর্থে বুদ্ধ মহাবীর বাসুদেবও আৰ্য্য। বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন শাক্যকুলে, মহাবীর জ্ঞাতৃক কুলে, এবং বাসুদেব যদুকুলে। এ সকল কুলই ( clan) আৰ্য্যকুল। এ সত্য বেদপন্থীরাও স্বীকার করেছেন, কেননা তঁরা এদের ক্ষত্ৰিয় অর্থাৎ দ্বিজ বলেই উল্লেখ করেন। তবে যে তঁরা । এদের প্রবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্ম বাহাধৰ্ম্ম নামে অভিহিত করেন। তার কারণ এই যে, যে আৰ্য্যকুল হতে বৈদিক ধৰ্ম্ম উৎপন্ন হয়, সে একটি স্বতন্ত্র কুল।