পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্য্যধৰ্ম্মের সহিত বাহ ধৰ্ম্মের যোগাযোগ। ৩০৩ ननक्षजैौ ७९ पृषध्वजैौ ७३ छ्रुश्ट्रे ( मौन अऊारु 6य দেশ অবস্থিত তার নাম ব্ৰহ্মাবৰ্ত্ত। এবং তৎপার্শ্বস্থিত কুরুক্ষেত্র মৎস্য পাঞ্চল এবং শূরসেন এই চারিটি ব্রহ্মর্ষিদেশ। ভারতবর্ষের এই ভূভাগে যে আৰ্যকুল বাস করতেন, সেই কুলেরই পারম্পৰ্য্য-ক্ৰমাগত যে আচার, শাস্ত্রকারদের মতে তাই সদাচার। এই আৰ্য্যদের কুলাচারই শাস্ত্ৰমতে আৰ্য্যধৰ্ম্ম। এ অর্থে অবশ্য বৌদ্ধ জৈন এবং বৈষ্ণবধৰ্ম্ম আৰ্য্যধৰ্ম্ম নয়, কেননা বৃষ্ণিকুল, জ্ঞাতৃকাকুল এবং শাক্যকুলের বাসস্থান ব্ৰহ্মাবৰ্ত্ত এবং ব্ৰহ্মর্ষিদেশের বহিভূত দেশ। কিন্তু সে সকল দেশ ত শাস্ত্ৰমতে আৰ্য্যদেশ। মনু বলেন, যে দেশের পূর্বে এবং পশ্চিমে সমুদ্র, উত্তরে হিমালয় এবং দক্ষিণে বিন্ধ্যপৰ্বত সেই সমগ্ৰ দেশের নাম আৰ্য্যাবৰ্ত্ত । মেধাতিথি বলেন যে “আৰ্য্যা বৰ্ত্তন্তে তত্ৰ” “এবং মেচ্ছের পুনঃ পুনঃ আক্রমণ করিয়াও সে দেশে চিরস্থায়ী হইতে পারে না”-এই কারণেই এ দেশের নাম আৰ্য্যাবৰ্ত্ত। তার মতে দেশের নাম থেকে জাতির নাম হয় না, জাতির নাম থেকেই দেশের নাম-করণ হয় । ভারতবর্ষের উত্তরাপথে, যে-সকল আৰ্য্যকুল বাস করতেন, র্তাদের মধ্যে পরস্পরের ভাষার যেমন ঐক্য ছিল, মনোভাবেরও তেমনি ঐক্য ছিল। এরাই ভারতবর্ষের আর্য্যসভ্যতা স্থাপন করেন, এবং সেই আৰ্যসভ্যতাই এ-দেশের সকল প্রাচীন ধৰ্ম্মমতের মূল। এই সকল বিভিন্নকুলের আধ্যাত্মিক মনােভাবের যে পার্থক্য ছিল সম্ভবত সেই পার্থক্য হতেই বিশেষ বিশেষ ধৰ্ম্মের আবির্ভাব হয়েছে। বুদ্ধ মহাবীর প্রভৃতি কর্তৃক প্ৰবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্ম সকলের মূল যে তঁদের নিজ নিজ কুলধৰ্ম্মে নিহিত ছিল এরূপ অনুমান করবার বৈধ কারণ আছে। এই উভয় ধৰ্ম্ম