পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9》や নানা কথা । । কোনও ধৰ্ম্মমতের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। আপনারা সকলেই জানেন যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর যে সকল ফরাসী দার্শনিক বিশ্বমৈত্রীর বাৰ্ত্তা ঘোষণা করেন, তারা প্ৰায় সকলেই নাস্তিক ছিলেন। মানবচরিত্রের প্রত্যক্ষ জ্ঞানের উপরেই ফরাসী-মনোভাব প্রতিষ্ঠিত, এবং সে মনোভাব প্ৰধানত ফরাসী-সাহিত্যই গঠিত ক’রে তুলেছে। Henry James বলেছেন যে, ফরাসীমনের চোখ চিরদিনই আলোর দিকে চেয়ে রয়েছে । দিনের আলোয় যা দেখা যায় না, ফরাসী-মন স্বভাবতই তা দেখতে চায় না; এর ফলে যে মনোভাব অস্পষ্ট ও অস্ফুট, যে সত্য ধরা দেয় না, শুধু আভাসে ইঙ্গিতে আত্মপরিচয় দেয়, সে মনোভাবের, সে সত্যের সাক্ষাৎ ফরাসী-সাহিত্যে বড় একটা পাওয়া যায় না। সরস্বতীদর্শনের কাল, ফরাসী-কবিদের মতে গােধূলি-লগ্ন নয়। যা কেবলমাত্র কল্পনার ধন, সে ধনে ফরাসীসাহিত্য অনেক পরিমাণে বঞ্চিত। অপর পক্ষে এই আলোকপ্রিয়তার ফলে সে সাহিত্য অপূর্ব স্বচ্ছতা, অপূর্ব উজ্জ্বলতা লাভ করেছে। এর তুল্য স্পষ্টভাষী সাহিত্য ইউরোপে আর দ্বিতীয় নেই। আমরা “স্পষ্টভাষী” শব্দ যে অর্থে ব্যবহার করি, সে অর্থে এ সাহিত্য স্পষ্টভাষী নয়। যিনি দিবারাত্র অপরকে অপ্রিয় কথা বলতে ব্যস্ত, এদেশে আমরা তাকেই স্পষ্টবক্তা বলি-ভাষায় যাকে বলে ঠোঁটকাট। ফরাসীসাহিত্য কিন্তু ঠোঁটকােটা-সাহিত্য নয়। ফরাসীজাতির ক্ষত্ৰধৰ্ম্ম জগৎবিখ্যাত। ফরাসী লেখকেরা বাকযুদ্ধেও সভ্যতার আইনকানুন মেনে চলেন। সাহিত্যক্ষেত্রেও তারা ধৰ্ম্মযুদ্ধের श्रकांठी। कशानौकडि शनाउ जॉन, उाई उांद्रा कशांश কথায় ক্রোধান্ধ হয়ে ওঠে না । তীক্ষ হাসির যে কি মৰ্ম্মভেদী