পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गळङभभि । (98ፃ এতদিন শুধু আমাদেরই দোহার দিয়ে এসেছে। আমরা যে ধূয়ো ধরিয়ে দিয়েছি—দেশসুদ্ধ লোক তাই ধরেছে। আমরাই বাকী ভারতবর্ষকে উচুগলায় কথা কইতে শিখিয়েছি ; নবযুগের মুখপাত্র হওয়াটা বাঙালীর পক্ষে একটা কম গৌরবের কথা নয়। চেচিয়ে চিন্তা করাই হচ্ছে বৰ্ত্তমান সভ্যতার ধৰ্ম্ম । কিন্তু আজকের দিনে বাঙলা দেশে সভাজাগানো বক্তা কোথায় ? যে দেশে রামগোপাল ঘোষ, কেশবচন্দ্ৰ সেন, লালমোহন ঘোষ, কালী ব্যানাজি প্রভৃতির জন্ম, সেই দেশে আজ উচ্চবাচ্য করতে হলে-“মরাহাতি লাখ টাকা” বলে সেই সেকালের সুরেন্দ্রনাথকেই আবার আসরে নামাই ; কেননা এ যুগের क?)- স্বর এত ক্ষীণ যে, তা দেশের কানে পৌছয় না। এককালে প্ৰবাদ ছিল যে, বম্বেওয়ালার রাজদরবারে যেতেন হাতে নিয়ে অঙ্ক, আর বাঙালীরা শঙ্খ। সেখানে শঙ্খধ্বনি শুধু বাঙালীতেই করতে পারত। কিন্তু আজকের দিনে আমাদের হাতের শঙ্খ খসে পড়েছে, অথচ তার বদলে অঙ্কও আসে নি । সে দরবারে এখন মুখে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মুখরক্ষা করছেন,—শৰ্ম্ম শাস্ত্রী প্রভৃতি দ্রাবিড় ব্ৰাহ্মণগণ । এই সব দেখে শুনে মনে হয়, আমাদের জাতীয় মনটা আজকাল ঝিমিয়ে পড়েছে। আর সে মন যে ঝিমিয়েই পড়েছে, তার প্রমাণ-আমাদের মনের গায়ে কেউ হাত দিলে আমরা অমনি চমকে উঠি, তারপরে চোখ রগড়ে লাল করে, যা মুখে আসে তাই বলি, আর সেই কথার নাম দিই জাতীয়-সাহিত্য। কিন্তু এ সব দেখে শুনেও আমি আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে হতাশ হইনে। আমার বিশ্বাস বাঙালীজাতি এ যুগে নীরবে নিজের অন্তরে নবশক্তি সঞ্চয় করছে, নবপ্ৰাণে অনু•