পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গভাষা বনাম বাবু বাঙ্গলা।। ৩৯ নেত্রে চেয়ে আছেন। “ঢাকা রিডিউ”-এর সমালোচনা অবলম্বন করে আমার নিজের মত সমর্থন করাই এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। অভিযোগ । সম্পাদক মহাশয়ের কথা হচ্ছে এই-- StuBD DBBBD DDD SiBDBiS SSLLLBBBiiS SuDDDiS “মেশবার” ( “খেনু” “গেনু”ই বা বাদ যায় কেন ? ) প্ৰভৃতি প্ৰাদেশিক শব্দ ব্যবহারের পক্ষপাতী নাহি। অন্য ভাষাভাষী বাঙ্গালীর অপরিজ্ঞাত । ভাষা প্রয়োগে সাহিত্যিক সন্ধীর্ণতা প্ৰকাশ পায় বলিয়া আমাদের विधान ।।” উপরোক্ত পদটি যদি সাধুভাষার নমুনা হয়, এবং ঐ রূপ লেখাতে যদি “সাহিত্যিক” উদারতা প্ৰকাশ পায়, তাহ’লে লেখায় সাধুতা এবং উদারতা আমরা যে কেন বৰ্জন করতে চাই, তা ভাষাজ্ঞ এবং রসজ্ঞ পাঠকেরা সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। এরূপ ভাষা সাধুও নয়, শুদ্ধও নয়, শুধু ‘যা-খুসি-তা” ভাষা। কোন লেখক-বিশেষের লেখা নিয়ে, তার দোষ দেখিয়ে দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার বিশ্বাস ওরূপ করাতে সাহিত্যের কোনও লাভ নেই। মশা মেরে ম্যালেরিয়া দূর করবার চেষ্টা বৃথা, কারণ সে কাজের আর অন্ত নেই। সাহিত্যক্ষেত্রে কতকটা আলো এবং হাওয়া এনে দেওয়াই সে স্থানকে স্বাস্থ্যকর করুবার প্রকৃষ্ট উপায়। তা সত্ত্বেও, “ঢাকা রিভিউ” হ’তে সংগৃহীত উপরোক্ত পদটি, অনায়াসলব্ধ পদ নিয়ে অযত্নসুলভ বাক্য রচনার এমন খাঁটি নমুনা, যে তার রচনা-পদ্ধতির দোষ বাঙ্গালী পাঠকদের চােখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার | লোভ আমি সম্বরণ করতে পারছিনে। শুনতে পাই, কোন একটি