পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভদ্রলোক তিন অক্ষরের একটি পদ বানান করতে চারটি ভুল করেছিলেন। “ঔষধ” এই পদটি তার হাতে, “অউসদ” এই রূপ ধারণ করেছিল। সম্পাদক মহাশয়ও একটি বাক্য রচনায় অন্তত পাঁচ ছ'টি ভুল করেছেন। ; - : ১। সাহিত্যের পূর্বে “মুদ্রিত” এই বিশেষণটি জুড়ে দেবার সার্থকতা কি ? অমুদ্রিত সাহিত্য জিনিষটি কি ? ওরা অর্থ কি সেই লেখা, যা এখন হস্তাক্ষরেই আবদ্ধ হয়ে আছে, - এবং ছাপা হয়নি? তাই যদি হয়, তাহ’লে সম্পাদক মহাশয়ের বক্তব্য কি এই যে, ছাপা হবার পূর্বে লেখায় যে ভাষা চলে, ছাপা হবার পরে আর তা চলে না ? আমাদের ধারণা, মুদ্রিত লেখামাত্রই এক সময়ে অমুদ্রিত অবস্থায় থাকে, এবং মুদ্রাষন্ত্রের ভিতর দিয়ে তা রূপান্তরিত হয়ে আসে না। বরং কোনরূপ রূপান্তরিত হলেই আমরা আপত্তি করে থাকি, এবং যে ব্যক্তির । সাহায্যে তা হয়, তাকে আমরা মুদ্রাকারের সয়তান বলে’ অভিহিত করি। এইরূপ বিশেষণের প্রয়োগ শুধু অযথা নয়, একেবারেই অনর্থক। ২। “ডাকতুম” “করতুম", প্রভৃতির “তুম” এই অন্তভাগ প্রাদেশিক শব্দ নয়, কিন্তু বিভক্তি। এস্থলে “শব্দ” এই বিশ্যেটি ভুল অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ সম্পাদক মহাশয় বোধ হয় একথা বলতে চান না যে, “ডাকা” “করা” “শোনা” প্ৰভৃতি ক্রিয়া শব্দের অর্থ কলিকাতা প্রদেশের লোক ছাড়া আর কেউ জানেন না। একথা নিৰ্ভয়ে বলা চলে যে “७ाका” “भांन” “रुद्र” अळुडि अंक, 'अणु ऊांषांडाशे' বাঙ্গালীর নিকট অপরিজ্ঞাত হলেও, বঙ্গ “ভাষাভাষী” বাঙ্গালী মাত্রেরই নিকট বিশেষ সুপরিচিত। এ সম্পাদক মহাশা