পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা বনাম বাকু বাঙ্গলা।। ৫৩ প্ৰসিদ্ধ এবং অপ্ৰসিদ্ধার্থক শব্দ। । দ্বিতীয় কথা এই যে, প্ৰতি dialect-এই এমন গুটিকতক কথা আছে, যা” অন্য প্রদেশের লোকদের নিকট অপরিচিত। যে dialect-এ এই শ্রেণীর কথা কম, এবং বাঙ্গালী মাত্রেরই নিকট পরিচিত শুদের ভাগ বেশি, সেই dialect-ই লিখিত ভাষার পক্ষে বিশেষ উপযোগী। আমার বিশ্বাস দক্ষিণাদেশী ভাষায় ঐ রূপ সৰ্বজনবিদিত কথা গুলিই সাধারণত মুখে মুখে প্রচলিত। উত্তর বঙ্গের ভাষার তুলনায় যে দক্ষিণবঙ্গের ভাষা। বেশি প্রসিদ্ধার্থক, এ বিষয়ে আমি নিজে সাক্ষ্য দিতে? ؟ উদাহরণ স্বরূপ আমি দুই চারটি শব্দের উল্লেখ করতে চাই । উত্তর বঙ্গে, অন্ততঃ রাজসাহী এবং পাবনা অঞ্চলে, আমরা। সকলেই ‘পৈতা, 'চুপকর', 'সকাল’, ‘সখ’, ‘কুল’, ‘পেয়ারা, ‘তরকারি’, প্ৰভৃতি শব্দ নিত্য ব্যবহার করি নে, কিন্তু তার অর্থ বুঝি। অপর পক্ষে “নগুণ’, ‘নক্করা’, ‘বিয়ান', 'হাউস’, ‘বোর’, ‘আম-সবরি’, ‘আনাজ’ প্ৰভৃতি আমাদের চলতি কথাগুলির অর্থ দক্ষিণদেশবাসীদের নিকট একেবারেই দুৰ্বোধ্য। এই কারণেও দক্ষিণদেশের মুখের কথা লিখিত ভাষার পক্ষে বিশেষ উপযোগী। খাস কলকাত্তাই ভাষাতেও অপরের নিকট দুর্বোধ্য অনেক কথা আছে, এবং তা ছাড়া মুখে মুখে অনেক ইত্যর কথারও প্রচলন আছে, যা” লেখা চলে না। ইতর কথার উদাহরণ দেওয়াটা সুরুচিসঙ্গত নয় বলে? আমি খাসকলকাত্তাই ভাষার ইত্যরতার বিশেষ পরিচয় এখানে দিতে পারুলুম না। কলকাতার লোকের আটহাত আটপৌরে ধূতির মত তাদের আটপৌরে ভাষাও বি-কচ্ছ, এবং সেই কারণেই । EDD BDDDBD SYuDD DDS DD DS su SkDS