পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গভাষা বনাম বাবু বাঙ্গলা। e. প্ৰণালী সাধারণত অনুসরণ করেছিলেন, তবুও নমুনা স্বরূপ কতকগুলি কবিতাতে “বাধ্যা” “ছাদ্যা” আকারেরও ব্যবহার করেছেন। অদ্যাবধি উত্তরবঙ্গে আমরা দক্ষিণবঙ্গের সেই পূর্ব প্রচলিত উচ্চারণ ভঙ্গিই মুখে মুখে রক্ষা করে আসছি। “করে”র তুলনায় “কার্যা” শুধু শ্রুতিকটু নয়, দৃষ্টিকটুও বটে, কেননা ঐ আকারে শব্দটি মুখ থেকে বার করতে হলে, মুখের কিঞ্চিৎ অধিক ব্যাদান করা দরকার। অথচ লিপিবদ্ধ বাক্যের এমনি একটি মোহিনী শক্তি আছে, যে মুখরোচক না হলেও তা আমাদের শিরোধাৰ্য হয়ে উঠে। “ইতাম” “তেম” এবং “তুম” এর মধ্যেও ঐ একই রকমের প্রভেদ আছে। তবে “উম” রূপ বিভক্তিটি অদ্যাবধি কেবলমাত্র কলিকাতা সহরে আবদ্ধ, সুতরাং সমগ্র বাঙ্গলাদেশে যে সেটি গ্রাহ্য হবে সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে, বিশেষত যখন “হালুম” “হলুম” প্রভৃতি শব্দের সঙ্গে অপর এক জীবের ভাষার সাদৃশ্য আছে। এই এক “উম” বাদ দিয়ে কলিকাতার বাদবাকি উচ্চারণের ভঙ্গিটি ষে কথিত বঙ্গ ভাষার উপর আধিপত্য লাভ করবে, তার DBDB BDDDB BD S SDBDBD DBYD DDD S BDBDBD DBY দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সকল প্রদেশেরই বাঙ্গালী ভদ্রলোকের মুখের ভাষা প্ৰায় একই রকম হয়ে এসেছে। প্ৰভেদ যা আছে সে শুধু টান টুনের। লিখিত ভাষার রূপ যেমন কথিত ভাষার অনুকরণ করে, তেমনি শিক্ষিত লোকদের মুখের ভাষাও লিখিত ভাষার অনুসরণ করে। এই কারণেই দক্ষিণদেশী ভাষা-যা লক্রমে সাহিত্যের ভাষা হয়ে উঠেছে-নিজ প্রভাবে শিক্ষিত জেরাও মুখের ভাষার ঐক্য সাধন করছে। আমি পূর্বেই । বলেছি যে, আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে কলিকাতার মৌখিক ।