পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুভাষা বনাম চলিত ভাষা। ᏔᏬ সাধারণত লোকের বিশ্বাস এই যে, প্রচলিত আচার ব্যবহারকে মন দিয়ে যাচিয়ে নেওয়াতে বিপদ আছে, কেননা তাদের মতে শুধু স্ত্রী-বুদ্ধি নয়, বুদ্ধিমাত্রই প্ৰলয়ঙ্করী। সমাজ সম্বন্ধে এ মতের কতকটা সার্থকতা থাকলেও, সাহিত্য সম্বন্ধে মোটেই নেই ; কারণ যে লেখার ভিতর মানব-মনের পরিচয় পাওয়া না যায়, তা সাহিত্য নয়। সুতরাং ললিতবাবু পূৰ্বপক্ষের মত লিপিবদ্ধ করবার চেষ্টা করে” বিষয়টি আলোচনার যোগ্য করে? তুলেছেন। একটা ধরাছোয়ার মত যুক্তি না পেলে, তার খণ্ডন করা অসম্ভব। কেবলমাত্র ধোঁয়ার উপর তলোয়ার চালিয়ে। কোন ফল নেই। ললিতবাবু বহু অনুসন্ধান করে’। সাধুভাষার স্বপক্ষে দুটি যুক্তি আবিষ্কার করেছেন, (১) সাধুভাষা আর্টের অনুকুল (২) চলিত ভাষার অপেক্ষা, সাধুভাষা হিন্দুস্থানী মারাঠা গুজরাটী প্ৰভৃতি ভিন্নজাতীয় লোকদের নিকট অধিক। সহজবোধ্য । আর্টের দোহাই দেওয়া যে কতদূর বাজে, এ প্রবন্ধে আমি সে সম্বন্ধে কোন আলোচনা করতে চাইনে। এদেশে প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় যে, যুক্তি যখন কোন দাড়াবার স্থান পায় না, তখন আর্ট প্রভৃতি বড় বড় কথার অন্তরালে আশ্রয় গ্ৰহণ করে। যে বিষয়ে কারও কোন স্পষ্ট ধারণা নেই, সে বিষয়ে। বক্তৃতা করা অনেকটা নিরাপদ, কেননা সে বক্তৃতা যে অন্তঃসারশূন্য, এ সত্যটি সহজে ধরা পড়ে না। তথাকথিত সাধুভাষা সম্বন্ধে আমার প্রধান আপত্তি এই যে, ওরূপ কৃত্ৰিম ভাষায় । আর্টের কোনও স্থান নেই। এ বিষয় আমার যা বক্তব্য আছে তা আমি সময়ান্তরে স্বতন্ত্র প্রবন্ধে বলব। এস্থলে এইটুকু বলে’ রাখলেই যথেষ্ট হবে যে, “রচনার যে প্রধান গুণ এবং