পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৪ - নানা-কথা । । ”, তারপর অবশ্য স্কুলপাঠ্য বহুতর বাংলা ব্যাকরণ রচিত। হয়েছে। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুকরণে লিখিত সেই সকল বই থেকে লিখিত ভাষার জ্ঞান কতকটা জন্মালেও, খাঁটি বাংলাভাষা শিক্ষার পক্ষে কোনরূপ সাহায্যই পাওয়া যায় না। : পূৰ্বোক্ত কারণেই Milne সাহেব এই নূতন ব্যাকরণ রচনা FACER I fsfâ Ff Fg (ICB, GR-“When studying Bengali I found myself greatly hampered by the want of a Grammar dealing with the colloquial idioms of the modern language. In this book an effort has been made to present to the English student those peculiarities of idiom which are likely to cause difficulties.” যদিচ মুখ্যত ইংরাজের জন্যই এই ব্যাকরণ লেখা হয়েছে, তবুও প্রত্যেক বাঙ্গালীর এই বইখানি পড়া উচিত। বাংলা ভাষার বিশেষত্বের দিকে দৃষ্টি রেখে বাংলা ব্যাকরণ যে রচনা করা উচিত, এ ধারণা আজকাল বহুলোকের মনে জন্মেছে। কেউ কেউ আংশিক ভাবে বাংলা ভাষার গঠনের নিয়ম আবিষ্কার করবার চেষ্টাও করেছেন, কিন্তু মিলন সাহেবই সর্বপ্রথমে একখানি পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ রচনা করেছেন। ইতিপূর্বে রাজা রামমোহন রায় ব্যতীত, অপর কোনও বঙ্গলেখক এরূপ ব্যাকরণ লেখবার চেষ্টামাত্রও করেছেন বলে আমার জানা নেই। : রামমোহন রায়ের ‘গৌড়ীয় ভাষা-ব্যাকরণ” স্কুলবুক সোসাইটির অনুরোধে লিখিত হয়। “পরন্তু তঁহার ইংলণ্ড গমন সময়ের নৈকট্য হাওয়াতে ব্যস্ততা ও সময়ের অল্পতা প্রযুক্ত