পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दारुज बांकन् ॥ १६: কেবল পাণ্ডুলিপি মাত্র প্রস্তুত করিয়াছিলেন, পুনসৃষ্টির সাবকাশ । পান নাই।” ফলে “গৌড়ীয় ভাষা ব্যাকরণে” যদিচ রচয়িতার অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় পত্রে পত্রে পাওয়া যায়, তবুও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তা বিশেষ কাজে লাগে না। কারণ তা প্রথমত উপক্ৰমণিকা মাত্র, দ্বিতীয়ত তার ব্যবহৃত পারিভাষিক । শব্দসকল, একালের বাঙ্গালীদের নিকট অপরিচিত। রামমোহন রায় কেবলমাত্র সত্তরখানি পাতায় বাংলা ব্যাকরণের মূল সূত্রগুলি ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন,-মিলন সাহেব প্ৰায় ছয়শ” পাতায় বাংলা ব্যাকরণের নিয়মগুলি বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করেছেন। সম্ভবত রামমােহন রায়ের ব্যাকরণ মিলন সাহেবের হাতে কখন পড়ে নি, অথচ অনেক বিষয়ে উভয়ের সম্পূর্ণ মিল আছে। সন্ধি এবং সমাস যে বাংলা ভাষার প্রকৃতিগত নয়-এ কথাটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। এমন কি, সংস্কৃতের অনুকরণে স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্ৰ নানারূপ শব্দের মধ্যে যে অবৈধ সন্ধি স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তী লেখকদের হাতে আবার তার বিচ্ছেদ ঘটেছে। রামমোহন রায় তাঁর ব্যাকরণে সন্ধির বিষয়। যে কেন কিছু লেখেন নি, তার কারণ দেখিয়ে তিনি বলেছেন যে “এ সকল জানিবার রীতি সংস্কৃত সন্ধিপ্রকরণে আছে এবং ভাষায় সেই রীতিক্রমে ওই শব্দসকল ব্যবহাৰ্য হইয়াছে ; অতএব সংস্কৃত সন্ধিপ্রকরণ ভাষায় উপস্থিতি করিলে, তাবৎ গুণদায়ক না হইয়া বরং আক্ষেপের কারণ হয়।”—তাহার পরবর্তী বঙ্গ-বৈয়াকরণিকগণ এই কথাটি মনে রাখলে, স্কুলের ছাত্রদের কষ্টের অনেক লাঘব হত। “অনেক পদের এক পদের ন্যায় রূপ হওয়ার নাম সমাস s' ঐরূপ কথার জড় ।