পাতা:নারীর মূল্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নারীর মূল্য
৪৪

পর্যন্ত্য নারীর স্থান কোথায় ছিল,—History of Women's Suffrage হইতে উদ্ধৃত করিতেছি,—উক্ত গ্রন্থে নারী বিবাহ করিবার পূর্বে তাহার সমস্ত সম্পত্তি ভাবী স্বামীকে লিখিয়া দিবার পরেও “she was not a person.” “not recognised as a citizen,” “was little better than a domestic servant,” “by the English common law her husband was her lord and master.” “he could punish her with a stick,” “the common law of thc state of Massachusets held man and wife to be one person, but that person was the husband,” “she had no personal rights, and could hardly call her soul her own” অথচ আমেরিকার নারীজাতির আশ্চর্য স্বাধীনতার কথা কতই না শোনা যায়। সে-দেশেও এ-দেশের মত লাঠিবাজি ছিল এবং নালিশ করিয়াও প্রতিকার হইত না।

 এইখানে একটা প্রশ্ন মনে উঠে—সংসারে মানব-জাতির কোন্ অবস্থায় নারীর উপর প্রথম নির্যাতন সুরু হইয়াছিল? মানুষ যখন পশুর মত ছিল, তখন হইতে, না কতক মানুষের মত হইবার পর হইতে? এ-সম্বন্ধে কোন সমাজতত্ববিদই ঠিক কিছু বলিতে পারেন না। পারিবার কথাও নয়। কারণ, প্রত্যেক জাতির মধ্যেই, তিনি সুসভ্যই হৌন, আর অসভ্যই হৌন, নর-নারীর সম্বন্ধটা এতই জটিল, এতই রহস্যে ঢাকা যে, বাহিরের লোকের বাহির হইতে দেখিয়া কিছুতেই তাহা ঠিক করিয়া বলিবার যো নাই। লেটুর যখন প্রথম প্রচার করিয়াছিলেন, পৃথিবীর সমস্ত অসভ্যেরাই নারী-জাতিকে যৎপরোনাস্তি যন্ত্রণা দেয়, তখন তিনি নিজের বুদ্ধির উপর নির্ভর করিয়াই বলিয়াছিলেন, এবং তখন অনেকেই সে-কথা বিশ্বাস করিয়াছিলেন,— কিন্তু সম্প্রতি অনেক পণ্ডিতই তাহাতে ধীরে ধীরে আস্থাশূন্য হইয়া পড়িতেছেন। বস্তুতঃ, নর-নারীর সম্বন্ধটা কিছুতেই এমন হইতে পারে না, যাহাতে extreme and unmitigated oppression constantly subjected to unimaginable cruelty and violence by the savage