পাতা:নিগ্রো জাতির নূতন জীবন - রামনাথ বিশ্বাস (১৯৪৯).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নিগ্রো জাতির নূতন জীবন

ক্ষেতের উপর দিয়ে চলছিলাম। মাঠে কোথাও লোক নেই অথচ দেখলেই মনে হয়—এই কদিন হল ক্ষেত হতে ধান কেটে নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রতীরের ধান ক্ষেত বড়ই সুন্দর। ধান ক্ষেতের আইল ধরে চলার সময় শুধুই মনে হচ্ছিল এদেশের এত বদনাম কেন? কেন লোকে আফ্রিকাকে এত হেয় চক্ষে দেখে? কোন লোক আফ্রিকাকে কালো আফ্রিকা বলে?

 কতক্ষণ যাবার পর সামনেই দেখতে পেলাম গ্রাম। গ্রাম সুন্দর। গ্রামটি নানা জাতীয় বৃক্ষ এবং নারিকেল বৃক্ষে পরিশোভিত। প্রায় বৃক্ষই ফলন্ত। ফলন্ত গাছ দেখে বেশ আরাম বোধ করলাম। লস্‌মনের ঘরে যখন পৌঁছলাম তখন মনের পরিবর্ত্তন হল। মনে হল যেন নিজের দেশেরই কারো বাড়ীতে এসেছি। একটু বিশ্রাম নেবার পরই লস্‌মনের চাকর—যাকে ‘আফ্রিকাতে বয় বলা হয় তিনি আমাকে স্নানাগার দেখিয়ে দিয়ে বললেন, এখানে স্নান করুন, আমি খাবার নিয়ে আসছি, অন্য রুমে বিছানা আছে। খাবার খেয়ে সেখানে বিশ্রাম করতে পারবেন।

 লস্‌মনের চাকরকে “আপনি” বলেছি তার কারণ আছে, চাকরটি শিক্ষিত, আমাদের দেশের বি, এ পাশের মত পণ্ডিত। তিনি ইংলিশে লিখতে পারতেন এবং পর্তুগীজ ভাষার অনর্গল কথা বলতে পারতেন, এমন লোককে তুমি বলা ভদ্রলোকের পক্ষে সম্ভব নয়।

 বয় খাবার নিয়ে আসার পর স্নান করে খেয়ে নিলাম, তারপর কিছু সময় বিশ্রাম করার পর পাশের বাড়ীর বাসিন্দাদের সংগে পরিচিত হবার জন্য নিকটস্থ ঘরের দরজার কাছে দাঁড়ালাম। আমি কি চাই জানবার জন্য একজন ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন “কি চাই?”

 বললাম পরিচিত হতে এসেছি। এদেশে আমি নূতন লোক, পেশা