ভারতবর্ষ! মা! মা! মা!” বলিয়া নিজের জপ-মালা হাতে লইয়া নিজেই জপ করিতে লাগিলেন ‘মা! মা! মা!’ ভারতবর্ষ যে তাঁহার প্রাণের প্রাণস্বরূপ কত প্রিয় ছিল তাহা বলিয়া বুঝাইবার ভাষা খুঁজিয়া পাওয়া যায় না! কে জানে কে তাঁহার চোখে এমন সোনার কাজল পরাইয়া দিয়াছিল যে তাঁহার নিকট ভারতের সকল পদার্থই সুবর্ণময় হইয়া গিয়াছিল। কে জানে তাঁহার গুরুদেব তাঁহাকে দীক্ষা দিয়া মৃন্ময়ী ভারতের ভিতর কি চিন্ময়ী প্রতিমার অধিষ্ঠান দেখাইয়া ছিলেন যাহাতে ভারতের ধূলিকনার ভিতরও তিনি আধ্যাত্মিকতারূপ অমৃতরসের সর্ব্বদা আস্বাদ পাইতেন!—এবং সেই অমৃতপানে বিভোর হইয়া তিনি যাহা বলিতেন তাহা শুনিয়া কত লোক তাঁহাকে পাগল বলিত। কিন্তু ধন, মান, যশ লইয়াই যাহারা দিবারাত্র পাগল হইয়া রহিয়াছে তাহারা এমন পাগলের কথা বুঝিবে কিরূপে?
বাঙ্গালাভাষা ভাল করিয়া শিখিবেন ইহা তাঁহার বহুদিনের বাসনা ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়া শিখিতে পারেন নাই বলিয়া উহা ভাল