পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩) এই কনভেনশনের আওতায় কমিটিকে কার্যকরভাবে ভূমিকা পালনে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব মহোদয় প্রয়োজনীয় কর্মী এবং সুযোগ-সুবিধা দেবেন।

৪) কমিটির প্রথম সভাটি আহ্বান করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব। প্রথম সভার পর পরবর্তী সভাগুলো অনুষ্ঠিত হবে কমিটির ’রুলস্ অব প্রসিডিওর’ মোতাবেক।

৫) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর মধ্যকার বৈঠক, কমিটি সভা প্রভৃতি অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার এবং জাতিসংঘ কর্তৃক ব্যয়কৃত অর্থ, যেমন এই ধারার ৩ উপধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কমিটির কর্তকর্তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রভৃতির ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর ওপরই বর্তাবে।

ধারা ১৯

১) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলো এই কনভেনশন প্রতিষ্ঠার পরবর্তী একবছরের মধ্যে কনভেনশনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পেরেছে, তা উল্লেখপূর্বক জাতিসংঘ মহাসচিবের মাধ্যমে প্রতিবেদন কমিটি সমীপে পেশ করবে; এর পর পরবর্তী চার বছরে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো এই কনভেনশন বাস্তবায়নে গৃহীত নতুন পদক্ষেপ এবং কমিটির অনুরোধে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচী বাস্তবায়নে অর্জিত সাফল্য উল্লেখ করে অতিরিক্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করবে।

২) জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিবেদনসমূহ সকল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কাছে প্রেরণ করবেন।

৩) কমিটি প্রতিটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে এবং যথোপযুক্ত সাধারণ মন্তব্য সহকারে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কাছে পাঠিয়ে দেবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি তখন কোন মন্তব্যের ব্যাপারে কমিটির সাথে যোগাযোগ করবে।

৪) এই ধারার ৩ উপধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কমিটি তার কোন মন্তব্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণের সাথে যুক্ত করে ২৪ ধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী প্রণীত বার্ষিক প্রতিবেদনে যুক্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কোন রাষ্ট্র এই মর্মে অনুরোধ জানালে এই ধারার ১ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী পেশকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি এতদ্‌সঙ্গে সংযোজন করতে পারে।

ধারা ২০

১) কোন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের পক্ষের কোন অংশে সুপরিকল্পিত পন্থায় নির্যাতন চালানো হচ্ছে এই মর্মে সুনির্দিষ্ট লক্ষণযুক্ত কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য কমিটির গোচরে এলে সেই তথ্য প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কমিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সহযোগিতা আহ্বান করবে এবং এই লক্ষ্যে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ পেশ করবে।

২) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক পেশকৃত মন্তব্য কিংবা অন্য কোন প্রাসঙ্গিক তথ্য পর্যালোচনা করে কমিটি যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে কমিটির এক বা একাধিক সদস্যকে গোপনে একটি তদন্ত চালিয়ে কমিটি বরাবর রিপোর্ট দাখিল করার জন্য নিয়োজিত করতে পারে।

৩) এই ধারায় ২ উপধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী যদি কোন তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের প্রতি কমিটি অনুরোধ জানাবে।

৪) এই ধারায় ২ উপধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কমিটির কোন সদস্য বা সদস্যবৃন্দ কর্তৃক পেশকৃত তদন্ত রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পর কমিটি রিপোর্টটি উপস্থিত ক্ষেত্রে কমিটির বিবেচনায় উপযুক্ত বলে বিবেচিত মন্তব্য বা পরামর্শসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কাছে ফেরত পাঠাবে।

১১