পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চ) এই ধারা মোতাবেক যদি কোন বিষয় কমিটির কাছে পাঠানো হয় তাহলে কমিটি রাষ্ট্রপক্ষসমূহকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য উপধারা ‘খ’ অনুযায়ী অনুরোধ করতে পারবে।
ছ) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহের ব্যাপারে কমিটি যখন কার্যব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা নেবে তখন রাষ্ট্রগুলো উপধারা ‘খ’ অনুযায়ী কমিটিতে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার রাখবে এবং মৌখিক বা লিখিতভাবে আবেদন পেশ করতে পারবে।
জ) উপধারা ‘খ’ অনুযায়ী পেশকৃত বিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তির এক বছরের মধ্যে কমিটি এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করবে যে,:
এক) ‘ঞ’ উপধারা মোতাবেক যদি কোন সমাধানে উপনীত হওয়া যায়, তাহলে কমিটি তার প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে যার মধ্যে ঘটনার বর্ণনা এবং সমাধান উল্লিখিত থাকবে।:
দুই) ‘ঞ’ উপধারা মোতাবেক যদি কোন সমাধানে উপনীত হওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে কমিটি শুধু ঘটনার বিবরণের মধ্যেই তার বিবৃতি সীমাবদ্ধ রাখবে এবং উক্ত প্রতিবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধি কর্তৃক পেশকৃত আবেদনের কপি এবং বক্তৃতার ধারণকৃত রেকর্ড সংযুক্ত করা হবে। প্রতিটি বিষয়েই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রপক্ষ বরাবরে পাঠানো হবে।

২) এই অনুচ্ছেদে বিধৃত বিধানাবলী ১ ধারা মতে এই কনভেনশনে পাঁচটি রাষ্ট্রপক্ষের ঘোষণা প্রদানের মধ্য দিয়ে কার্যকর হবে। পাঁচটি রাষ্ট্রপক্ষের এই ঘোষণা জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে দাখিল করতে হবে। মহাসচিব অতঃপর ঘোষণাসমূহ অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের মধ্যে বিলি করবেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের বরাবরে আবেদনের মাধ্যমে অবশ্য ঘোষণা যে কোন সময় প্রত্যাহার করে নেবার সুযোগ ঘোষণা থাকবে। এই ধারা বলে প্রেরিত আবেদনসমূহ যে বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রণীত হচ্ছে, অনুরূপ ঘোষণা প্রত্যাহার তার প্রতি পক্ষপাতিত্বপূর্ণ বলে পরিগণিত হবে না। মহাসচিব কর্তৃক উক্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা গৃহীত হবার পর সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আর কোন আবেদন এই ধারা অনুযায়ী বিবেচনাযোগ্য হবে না, যদি উক্ত রাষ্ট্রপক্ষ নতুন কোন ঘোষণা প্রদান না করে।

ধারা ২২

১) এই কনভেনশনের কোন রাষ্ট্রপক্ষ এই ধারার আওতায় যে কোন সময় কমিটিকে অন্য কোন রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক এই কনভেনশন ভঙ্গপূর্বক নির্যাতনের ঘটনার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষে আবেদন গ্রহণ এবং নিষ্পত্তির উপযুক্ত বলে ঘোষণা করতে পারবে। যে রাষ্ট্রপক্ষ অনুরূপ ঘোষণা করবে না, সেই সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের পক্ষে কমিটি কোন আবেদন গ্রহণ করবে না;

২) এই ধারার আওতায় কমিটি অজ্ঞাত পরিচয় কোন সূত্র থেকে প্রেরিত আবেদন অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করবে এবং এ ধরনের আবেদনকে অনুরুপ আবেদনের অধিকার অপব্যবহার করার শামিল অথবা এই কনভেনশনের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে বিবেচনা করবে;

৩) উপধারা ২-এর শর্তানুসারে কমিটি তার নিকট পেশকৃত কোন আবেদনকে এই ধারাবলে উপধারা ১ অনুযায়ী ঘোষণা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের দৃষ্টিগোচরীভূত করবে। অনুরূপ দৃষ্টিগোচরমূলক বিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ ঘটনার বিবরণ জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দিতে বাধ্য থাকবে যাতে রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক গৃহীত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করতে হবে;

৪) কমিটি এই ধারাবলে গৃহীত আবেদনপ্রাপ্ত সকল তথ্যের আলোকে বিবেচনা করবে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে বিবেচনা করবে;

১৩