পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা

মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে

কনভেনশন

১৯৮৪ সালের ১০ই ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত ৩৯/৪৬ মোতাবেক স্বাক্ষরদান, অনুসমর্থন ও যোগদানের জন্য গৃহীত ও উন্মুক্ত।

কনভেনশনের ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী ২৬শে জুন ১৯৮৭ থেকে কার্যকর।

এই কনভেনশনের রাষ্ট্রপক্ষসমূহ,

এতদ্বারা জাতিসংঘ সনদে বিঘোষিত আদর্শের সাথে সঙ্গতি রেখে এবং মানব পরিবারের সকল সদস্যের সমান এবং অবিচ্ছিন্ন অধিকারই যে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং বিশ্বশান্তির মূল ভিত্তি, এ কথা স্বীকার করে,

এই অধিকারগুলো যে মানুষের আত্মমর্যাদাবোধ থেকে উদ্ভূত একথা স্বীকার করে,

জাতিসংঘ সনদ, বিশেষ করে ৫৫ ধারার অধীনে মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সদস্য রাষ্ট্রবর্গের শ্রদ্ধা এবং আনুগত্যের কথা বিবেচনা করে,

৫ ধারায় বিঘোষিত মানব অধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা এবং ৭ ধারায় বর্ণিত নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি (উভয়েরই অঙ্গীকার হলো কেউ যাতে দৈহিক নির্যাতন, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ কিংবা শাস্তির শিকারে পরিণত না হয়) এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে,

এবং এতদ্‌সহ ১৯৭৫-এর ৯ই ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সকল মানুষকে দৈহিক নির্যাতন, অমানবিক এবং মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তি থেকে মুক্ত রাখার ব্যাপারে সর্বজনীন ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে,

এতদ্বারা বিশ্বব্যাপী নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ কিংবা শাস্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনকে আরও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে সম্মতি প্রদান করছে—

পরিচ্ছেদ-১

ধারা ১

১) এই কনভেনশনের প্রয়োজনে ব্যবহার্য 'নির্যাতন' শব্দটির অর্থ যে কোন কাজ যা দৈহিক বা মানসিক ব্যথা বা দুর্ভোগ বৃদ্ধি করে এবং যা অন্য কোন মানুষ বা তৃতীয় কারো কাছ থেকে কোন তথ্য বের করার কাজে বা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়; নির্যাতিত ব্যক্তি বা ততীয় কোন ব্যক্তিকে কোন অপরাধ করে থাকলে বা করেছে বলে সন্দেহবশত শাস্তি প্রদান করা হলে; অথবা ভয় দেখানোর জন্য বা মানবিক আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কোন সরকারি কর্মকর্তার নির্দেশে, সম্মতিক্রমে বা অন্য কোন পন্থায় এ ধরনের যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী নির্যাতন যে কোন যুক্তিতে বা যে কোন ধরনের বৈষম্যের কারণে চাপিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য আইনগতভাবে কার্যকর কোন দণ্ডজনিত যন্ত্রণা বা দুর্ভোগ এর আওতায় পড়বে না।