পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধারা ৬

১) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের ভূখণ্ডে সংঘটিত ৪ ধারায় সংজ্ঞাধীন কোন অপরাধকারীকে, যদি রাষ্ট্র সে রকম কোন তথ্য পেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়, তাহলে তাকে গ্রেফতার করবে অথবা তার অপরাধের বিচারের জন্য অন্যান্য আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। গ্রেফতার এবং অন্যান্য আইনগত বিধান সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের আইন অনুসারে হবে, তবে তা কোন ফৌজদারী বা দেশান্তর মোকাদ্দমা শুরু হওয়া পর্যন্ত খণ্ডকালীন সময়ের প্রয়োজনে কার্যকর হবে।

২) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রাথমিক তদন্ত তাৎক্ষণিকভাবে শুরু করবে।

৩) প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে এই ধারার প্রথম অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতিতে গ্রেফতারকৃত যে কোন ব্যক্তিকে, সে যে রাষ্ট্রের নাগরিক তার নিকটস্থ প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার অনুমতি দিতে হবে, অথবা যদি সেই ব্যক্তি কোন রাষ্ট্রে নাগরিকত্বের দাবিদার না হয়, তাহলে যে দেশে সে বেশিরভাগ সময় কাটায় সে দেশের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার জন্য সাহায্য করতে হবে।

৪) এই ধারা মোতাবেক কোন রাষ্ট্রপক্ষ যদি কাউকে গ্রেফতারপূর্বক কারাবন্দী করে তাহলে ৫ম ধারার ১ম অনুচ্ছেদের বর্ণিত রাষ্ট্রসমূহকে অবহিত করতে হবে এবং কেন ও কোন্‌ পরিস্থিতিতে তাকে বন্দী রাখা হয়েছে তার কারণ জানাতে হবে। ২য় অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মে যে রাষ্ট্র প্রাথমিক তদন্ত অনুষ্ঠিত করবে তাকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে দ্রুত অবহিত করতে হবে এবং এই রাষ্ট্র তার বিচারের এখতিয়ার প্রয়োগ করতে আগ্রহী কিনা তাও জানাতে হবে।

ধারা ৭

১) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষটি যার বিচারের এখতিয়ার অধীন ভূখণ্ডের কোন ব্যক্তি ৪ ধারায় বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে যে অভিযুক্ত হয়েছে, সেই রাষ্ট্র ৫ ধারার বর্ণিত পরিস্থিতিতে যদি তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার না করে তাহলে বিচারের উদ্দেশ্যে উক্ত রাষ্ট্রের যোগ্যতম কর্তৃপক্ষের বিচার্য গুরুতর ধরনের অন্যান্য সকল সাধারণ অপরাধ বিচারের ন্যায় অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সহকারে তাদের বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ৫ ধারার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের চিহ্নিত ক্ষেত্রে বিচার এবং দণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রমাণাদি ৫ ধারার ১ উপধারায় বর্ণিত ক্ষেত্রসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণাদির চেয়ে কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ হতে পারবে না।

২) যে কোন ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে ৪ ধারায় বর্ণিত অপরাধের সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযোগ আনা হয়েছে বা বিচারকার্য চলছে, বিচার চলাকালীন বিভিন্ন পর্যায়ে তার প্রতি সদাচরণ সুনিশ্চিত করতে হবে।

ধারা ৮

১) ৪ ধারায় বর্ণিত অপরাধসমূহ দুই সদস্য দেশের মধ্যে বিদ্যমান অপরাধ প্রত্যর্পণ (এক্সট্রাডিশন) চুক্তির আওতায় অপরাধী প্রত্যর্পণমূলক অপরাধের পর্যায়ভুক্ত বলে গণ্য করতে হবে। যে সকল রাষ্ট্র তাদের মধ্যে অপরাধী প্রত্যর্পণমূলক চুক্তি সম্পাদন করবে, সেই চুক্তিতে তারা এ ধরনের অপরাধকে অপরাধী প্রত্যর্পণমলক অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে।

২) যদি কোন রাষ্ট্রপক্ষে কোন অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তিতে অপরাধী প্রত্যর্পণকে বাধ্যতামূলক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে তাহলে চুক্তির অপর দেশটি অপরাধী ফেরত প্রদানের জন্য সে দেশের প্রতি