পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধারা ১৩

কোন রাষ্ট্রপক্ষের বিচার এখতিয়ারাধীন ভূখণ্ডে নির্যাতিত হয়েছে বলে কারো অভিযোগ থাকলে তার সেই অভিযোগ দায়ের করার অধিকার রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে এবং তার বিষয়টি যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করতে হবে। অভিযোগকারী অথবা সাক্ষীদের অভিযোগ দায়ের বা সাক্ষ্যদানের জন্য যাতে দুর্ব্যবহার বা হুমকির সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

ধারা ১৪

১) দৈহিক নির্যাতনের শিকার কোন বন্দী যাতে আইনগত প্রতিকার এবং যতটা সম্ভব পরিপূর্ণ পুনর্বাসনের বন্দোবস্তসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের সুযোগ পান, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে। দৈহিক নির্যাতনে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার পোষ্যবৃন্দ উক্ত ক্ষতিপূরণের অধিকারী হবে।

২) জাতীয় আইনের আওতায় নির্যাতিত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের কোন অধিকার এই ধারার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বা বাধাপ্রাপ্ত হবে না।

ধারা ১৫

প্রতিটি রাষ্ট্রপক্ষকে এই মর্মে নিশ্চিত করতে হবে যে, দৈহিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে কারো কাছ থেকে কোন বিবৃতি আদায় করা হলে, অভিযুক্ত নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করা ছাড়া, সেই বিবৃতিকে কোন বিচারের ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না।

ধারা ১৬

১) প্রতিটি রাষ্ট্রপক্ষকে তার বিচারাধীন ভূখণ্ডের যে কোন স্থানে নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তি, যা ১ ধারায় বর্ণিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে সেই ধরনের কোন আচরণ কোন সরকারি কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি সরকারি ক্ষমতাবলে যাতে সংঘটিত করতে না পারে বা তার নির্দেশে যেন সংঘটিত হতে না পারে, সে জন্য প্রতিবিধানমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় বর্ণিত দায়িত্বসমূহ নির্যাতন বা নির্যাতনের অন্যান্য মাধ্যম যেমন নিষ্ঠুর অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ ও শাস্তির বেলায় প্রযোজ্য হবে।

২) এই কনভেনশনের বিধানসমূহ নিষ্ঠুর অমানবিক ও মর্যাদাহানিকর আচরণ কিংবা শাস্তি নিষিদ্ধকারী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সনদ বা জাতীয় আইনের অনুরূপ বিধানাবলীর প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রণীত হয়নি।

পরিচ্ছেদ - ২

ধারা ১৭

১) নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি কমিটি গঠন করা হবে (যাকে এর পর থেকে 'কমিটি' হিসেবে অভিহিত করা হবে), পরবর্তী পর্যায়ে বর্ণিত দায়দায়িত্ব সে কমিটি পালন করবে। এই কমিটি গঠিত হবে উচ্চ নৈতিক চরিত্র এবং মানবাধিকার আন্দোলনে যোগ্যতার স্বীকৃতিসম্পন্ন দশজন বিশেষজ্ঞ সমবায়ে, যারা তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় কাজ করে যাবেন। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো এই