পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौजयगन झूमौ গবাক্ষের নিকটে একখানি টেবিল ছিল, শ্ৰীশ ছুটিয়া সেই টেবিলের নিকটে গেল ; এবং টেবিলের উভয় পার্শ্বস্থ ড্রয়ার দুইটিই একেবারে দুষ্ট হাতে টানিয়া খুলিয়া ফেলিল; তাহার ভিতরে যে সব কাগজ-পত্ৰ ছিল, তাহা উল্টাইয়া-পাণ্টাইয়া দেখিল—ছুরি নাই। একপার্শ্বে একটি ক্ষুদ্র বিছানা ছিল। শ্ৰীশ সেই বিছানার গদি, বালিশ, লেপ সমুদয় তুলিয়া তুলিয়া দেখিল, সেখানেও ছুরি পাওয়া গেল মা ! এত পরিশ্রম সার্থক হইল না-শ্ৰীশ বড় হতাশ হইয়া পড়িল ; কিন্তু হতাশ হইয়া বসিয়া থাকিবার এ সময় নহে--আর এক মুহুৰ্ত্ত ভাবিবার সময়-নাই-এখনই মজিদ খাঁ আসিয়া পড়িবেন। তিনি আসিয়া পড়িলে আর কিছুই হইবে না-সকল শ্রম পণ্ড হইবে। এত জলে ভেজা-এত গোঙানি-এত কঁাপুনি-সকলই বৃথা হইবে। এমন কি প্রতিপালক দেবেন্দ্রবিজয়ের নিকটে মুখ দেখােনই ভার হইবে। শ্ৰীশচন্দ্র ব্যাকুলভাবে গৃহের চারিদিকে দৃষ্টি সঞ্চালন করিতে লাগিল । টেবিলের উপরে একটা কাঠের বাক্স ছিল। সেই বাক্সের উপরে শ্ৰীশের দৃষ্টি পড়িল ; শ্ৰীশ বাক্সটা খুলিতে গেল, খুলিতে পারিল না-তােহা চাবিবন্ধ। বাক্সটা কৌশলে খুলিবার সময় ইহা নহেভাঙিতে গেলেও বিলম্ব হইবে-ততক্ষণে মজিদ খাঁ আসিয়া পড়িবেন। শ্ৰীশ মনে ভাবিল, যখন সেই ছুরি ঘরের আর কোথায় পাওয়া গেল না ; তখন নিশ্চয়ই তাহা এই বাক্সের ভিতরে আছে ; কিন্তু বাক্সটা চাবিবন্ধ, শ্ৰীশের বড় আশায় ছাই পড়িল। শ্ৰীশ একবার মনে করিল, বাক্সটি তুলিয়া লইয়া জানাল দিয়া পার্থের গলিপথে ফেলিয়া দিবে-তাহার পর সময় মত খুলিয়া দেখিতে পরিবে। যেমন সঙ্কল্প-তেমনই কাজ-শ্ৰীশ দুই হাতে বাক্সটি লইয়া একটা উন্মুক্ত গবাক্ষের দিকে অগ্রসর হইল । এমন সময়ে গবাক্ষ-পার্শ্ববৰ্ত্তী একখানি ছবির দিকে সহসা তাহার