পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে নানাস্তাবের প্রাবল্য R করা যুক্তিসঙ্গত বোধ করিয়াছিলেন। যেমন সেই ছুরিতে একদিকে মজিদের উপরে দেবেন্দ্রবিজয়ের সন্দেহ প্ৰবল হইয়াছে, আর একদিকে শ্ৰীশ প্রমুখাৎ মজিদ ও জোহেরার কথোপকথন সম্বন্ধে যাহা তিনি শুনিয়াছিলেন, তাহাতে মজিদের উপর হইতে সন্দেহটা কিছু হাল্কা হইয়াও গিয়াছে। মজিদের কথার ভাবে বুঝা যায়, তিনি নিজেই মনিরুদ্দীনকে সন্দেহ করিতেছেন। দেবেন্দ্রবিজয় আবার ভাবিলেন, “এমনও হইতে পারে, মজিদ জোহেরাকে মিথ্যা বলিয়াছে-আত্মদোষ ক্ষালনাৰ্থে অনেকেই পরের উপর এরূপ ঝোঁক দিয়া থাকে। মজিদ হয় দোষী, না হয় কোন-না-কোন রকমে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছেন। আরও বেশ বুঝা যাইতেছে, স্বজান বিবির গৃহত্যাগের সহিত এই খুনের মামলার কিছু সংশ্ৰব আছে। খুনের রাত্রে যে স্ত্রীলোক সৃজন বিবির সঙ্গে দেখা করিতে গিয়াছিল, সে কে ? দিলজান নয় কি ? দিলজান ? দিলজান কেন তাহার সহিত দেখা করিতে যাইবে ? দিলজানের কি সহসা এতখানি সাহস হইতে পারে ? সে বারাঙ্গনী--মুন্সী । জোহিরুদ্দীনের অন্তঃপুরে প্রবেশ করা তাহার পক্ষে সম্ভব নহে। তবে এরূপও হইতে পারে, সুজান বিবি তাহার মনিরুদ্দীনকে কাড়িয়া লাইতেছে দেখিয়া, সে সৃজন বিবিকে দুই-একটা কঠিন কথা শুনাইয়া দিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারে নাই। এইরূপ গাত্রদাহ উপস্থিত হইলে রমণীমাত্রেই দিগ্বিদিক্‌ জ্ঞানশূন্য হইয়া পড়ে ; এবং তখন তাহাBDDB DDDDD BBB BDBBDDB DDDD KBD DS SBDBD DDS নিশ্চয়ই সে দিলজান । দেখিতেছি, এ রহস্য-সমুদ্রের তলদেশ পৰ্য্যন্ত আমাকে নামিতে হইবে।” মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া দেবেন্দ্রবিজয় বাটী হইতে সাধারণ ভদ্রলোকের মত সাদাসিধে পোষাকে বাহির হইয়া পঢ়িলেন ; এবং লাতিমন বাইজীর বাটী অভিমুখে চলিলেন।