পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ সখিয়া তাহার পর দেবেন্দ্রবিজয় সেই লোহার তার ও শিকের সাহায্যে ‘’দিলজনের বাক্স ও ডুয়ারগুলি খুলিয়া ফেলিতে লাগিলেন ; এবং "তন্মধ্যস্থিত জিনিষ-পত্ৰ সমুদয় উল্টাইয়া-পাণ্টাইয়া দেখিতে লাগিলেন। ‘প্রায় একঘণ্টা কঠিন পরিশ্রমের পর নিজের কাজে লাগিতে পারে, এমন দুই-একটি মাত্র জিনিষ। তাহার হস্তগত হইল ; তাহা একতাড়া পুরাতন চিঠিী এবং দুইখানি ফটোগ্রাফ ভিন্ন আর কিছু নহে। চিঠিগুলি আমীর খাঁ নামক কোন ব্যক্তি মুজান নামী কোন রমণীকে লিখিতেছে। সকলগুলিই প্ৰেমপত্র, তাহা ভালবাসার কথা-বিরহের কথা —অন্তরঙ্গতার কথা ও অনন্তবিধ হা-হুতাশে পূর্ণ। ফটােগ্রাফ দুই"খানির একখানিতে একটি শুক্লকেশ বৃদ্ধ মুসলমানের প্রতিকৃতি অঙ্কিত। ‘छांशंद्र পরপৃষ্ঠায় লেখা—“মুন্সী মোজাম হোসেন-সাং পিদিরপুর।” অপর ফটোখানি দিলজনের নিজের, ইস্থাতে দিলজন সালঙ্কারা নীলবসনা নহে, শুভ্ৰবসনা নিরলঙ্কায়া-তথাপি তাহা বড় সুন্দর দেখাইতেছে। আবেণীসম্বন্ধ কেশগুচ্ছ-গুচ্ছে গুচ্ছে সুন্দর মুখখানির উভয় পার্থে ৱেষ্টন করিয়া, অংশে পৃষ্ঠে এবং বক্ষের উপরে লুটাইয়া পড়িয়ছে। তুলি চিত্রিতাবৎ আকৰ্ণবিশ্রান্ত বঙ্কিম ভ্ৰযুগ, এবং ভাসা ভাসা প্রচুরায়ত ও কৃষ্ণতার চক্ষুদু’টি সে সুন্দয় মঞ্চ {ণ্ডলের অপূর্ব শোভা বৰ্দ্ধন করিতেছে। সেই "ডাগর চক্ষু দুটীতে দে।" আবার কি মনােমোহিনী দৃষ্টি ! তাহার পর, আরও মনোহর সেপেশী *"গ্ৰীবার বঙ্কিম ভঙ্গি-প্রসূত পরিপুষ্ট বক্ষের