পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাথিয়া SRè উদ্ধাৰ্দ্ধভাগ উন্মুক্ত। একটি কুসুমিতা লতা মালার মত অংস ও কণ্ঠবেষ্টন করিয়া সেই কামদেবের লীলাক্ষেত্ৰতুলা সমুদ্রত বাক্ষর উপরে श्रानिा 2छिाएछ। দেবেন্দ্রবিজয় ফটােগ্রাফ দুইখানি বিশেষরূপে পর্যবেক্ষণ করিয়া একে একে পত্রগুলি পড়িতে আরম্ভ করিলেন। দশ-দশখানি সুদীর্ঘ পত্রদেবেন্দ্রবিজয় সকলগুলিরই আদ্যোপান্ত বিশেষ মনোযোগের সহিত মনে মনে পাঠ করিলেন। পাঠ শেষ করিয়া তিনি লতিমনের মুখের দিকে চাহিলেন। লতিমন এতক্ষণ নীরবে তঁহার মুখের দিকে অবাক ইয়া চাহিয়াছিল। দেবেন্দ্রবিজয় তাহাকে বলিলেন, “ঘটনা যাহা ঘটয়াছে, এতক্ষণে সব বুঝিলাম। আপনি যাহাকে দিলজান বলিয়া জানেন, তাহার প্রকৃত নাম দিলজান নহে-মুজান। খিদিরপুরে তাহার পিতৃগৃহ। তাহার পিতার নাম মোজাম হোসেন ! ঘটনাক্ৰমে । পিতৃগৃহে মনিরুদ্দীনের সহিত তাহার প্রণয় হয়। মনিরুদ্দীন নিজের নাম গোপন করিয়া আমীর খাঁ নামে তাহার নিকটে পরিচিত হইয়াছিলেন। মুজান, আমীর খাকে বিবাহ করিবার জন্য পীড়াপীড়ি করে ; কিন্তু আমীর খাঁ য়ে সকল কথা উড়াইয়া দিয়া তাঙ্গাকে গৃহের বাহির করিবার চেষ্টা করে। পরিশেষে মনিরুদীনেরই চেষ্টা সফল হইল। পরে সখন মৃজান বুঝিল, কাজটা সে নিতান্ত বুদ্ধিহীনার মত ঝরিয়া ফেলিয়াছে, নিজে কলঙ্ক-সাগরে ডুবিয়াছে, এবং সেই কলঙ্কের কালিমা তাহার বুদ্ধ পিতার মুখে লেপন করিয়াছে, তখন সে আত্ম-পরিচয় গোপন করিয়া দিলজান নাম লইয়া থাকিল। এই যে বৃদ্ধের তসবীর দেখিতে, ছন, ইনিই দিলজনের পিতা, নাম মোজাম হোসেন। আর এইখান সেই আপনার মুজান ওরফে দিলজনের তসবীর।” লুতিমন মনোহর রূপকথার মত দেবেন্দ্রবিজয়ের মুখের এই প্ৰেম নী-৯