পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è yo नौलवनन श्वातंत्री "বৃদ্ধ রোদনোেচ্ছসিতকণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “না, আমার দুইটি কন্যা-আমি আপনাকে মিথ্যাকথা বলিয়াছিলাম। আপনি যে মৃজনের কথা বলিতেছেন, সে আমীর খাঁ নামে একটা বদমায়েসের প্রলোভনে পড়িয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে। তাহার আর সন্ধান পাই নাই । আমার নিজের যে অবস্থা দেখিতেছেন, তাহাতে সন্ধান কারবার সামর্থ্যও আর নাই। সে অবধি আমি সেই শয়তানীর নাম মুখে আনি না। সে আমার মুখে কলঙ্কের কালি দিয়া গিয়াছে; কিন্তু তথাপি সে দোষ তাহার নয়।--বেইমান আমীর খাই তাহার সর্বনাশ করিয়াছে।” দেবেন্দ্রবিজয় দেখিলেন, বৃদ্ধের মনের মধ্যে এ সময়ে একটা অদম্য বেগ আসিয়াছে। এই সময়ে বৃদ্ধের হৃদয়ের দ্বার কোন রকমে একটুখানি উদঘাটন করিয়া দিতে পারিলে, তঁহার মুখ হইতে অনেক কথাই বাহির হইয়া পড়িবে; কিন্তু কোন কথা দ্বারা ঠিক স্থানে আঘাত করা যাইতে পারে, দেবেন্দ্রবিজয় তাহা খুজিতে লাগিলেন। তখনই একটা ঠিক করিয়াও ফেললেন। বলিলেন, “দেখুন, মুন্সী সাহেব, আপনি একজন মান্ত-গণ্য মহাশয় ব্যক্তি, আপনার পারিবারিক বিষয়ে কোন কথার উত্থাপন করা আঁমার পক্ষে একান্ত অনুচিত, সেটুকু বুঝিবার শক্তি যে আমার নাই, এমন নহে। তবে আমার উপরে একটা দায়িত্ব রহিয়াছে, সে দায়িত্ব যে-সে। দায়িত্ব নহে, একজন লোকের জীবন নিয়ে টানাটানি। যদি তাহা আমার কাছে শুনেন, আপনিও আমাকে সাধ্যমত সাহায্য করিতে প্ৰস্তুত হইবেন।, তখন আমার নিকটে আপনি অসঙ্কোচে সকল কথাই প্ৰকাশ করিবেন।” জলন্ত রক্তচক্ষুঃ মেলিয়া মুন্সী সাহেব একবার দেবেন্দ্রবিজয়ের মুখের দিকে চাহিলেন; তাহার পর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন, “বলুন, আমি শুনিতে প্ৰস্তুত আছি-আপনার বক্তব্য শেষ করুন।