পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांत्रिंदांकि S8. যদি উচিত বোধ করি, দ্বিধা করিবার কিছুই না থাকে, আমি আপনার কাছে কোন কথা গোপন করিব না ।” তখন দেবেন্দ্রবিজয়, মেহেদী-বাগানের খুন ও স্বজানের গৃহত্যাগ সম্বন্ধে যাহা কিছু জানিতেন, বলিলেন। এবং এই খুনের সহিত স্বজনের গৃহত্যাগের যে কতটা সংসক্তি আছে, তাহাও বুঝাইয়া দিলেন। তাহার পর মজিদ খাঁকে যে সকল ভিত্তিহীন সন্দেহ দ্বারা কঠিনভাবে জড়াইয়া ফেলিয়া, তিনি তাহাকে একেবারে হাজতে পূরিয়া ফেলিয়াছেন, তাহাও অনুক্ত রাখিলেন না: বিশেষ মনোযোগের সহিত সকল কথা শুনিয়া মোজাম হোসেন ক্ষণকাল নতমুখে নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন। অনন্তর দেবেন্দ্রবিজয়ের মুখের দিকে চাহিয়া হন্তে-হস্তাবমর্ষণ করিতে-করিতে অত্যন্ত করুণ-কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “এক সময়ে আমার এমন দিন ছিল, যখন অনেকেই আমার মুখ চাহিয়া থাকিত । যাহাদের আসন আমার নিয়ে ছিল, এখন আমাকে অবস্থা-বিপাকে তাহদের নিম্নে আসন পাতিতে হইয়াছে। এখন একটা কিছু সামান্য নিন্দাতে সকলেই আমার উপরে চাপিয়া পড়িবে, সেইজন্য আমাকে এখন খুব সাবধানে চলিতে হয়। কলঙ্কের কথা যত গোপন থাকে, সেজন্য এখন আমার বিশেষ চেষ্টা করাই কৰ্ত্তব্য ; কিন্তু আপনার মুখে যেরূপ শুনিতেছি, তাহাতে একজন নিৰ্দোষীর জীবন-সংশয়। এখন তাহাকে উদ্ধার কম্বুিবার জন্য ভদ্রব্যক্তিমাত্রেরই চেষ্টা ও সাহায্য করা উচিত। বলুন, আপনি কি জানিতে চাহেন, অবক্তব্য হইলেও আমি । তাহা আপনাকে বলিব ।” দেবেন্দ্রবিজয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “দিলজান কি আপনার কন্যা ?” । প্রত্যুত্তরে মুন্সী সাহেব একখানি কেতাবের ভিতর হইতে श्थानि ফটােগ্রাফ, বাহির করিয়া দেবেন্দ্রবিজয়ের সম্মুখে ফেলিয়া দিলেন।