পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজেয় কখা •צ * ee করিবার পূৰ্বে আপনার কথাগুলি আমাকে আরও একবার ভাল করিয়া ভাবিয়া দেখিতে হইবে।” অরিন্দম বাবু বলিলেন, “হা, আগে ভাবিয়া-চিন্তিয়া পরে কাজে হাত দেওয়াই ঠিক ; নতুবা অনেক সময়ে পরিশ্রম মাত্র সারা হয়। এবার বিশেষ বিবেচনার পর এমন একটা সুত্র অবলম্বন করিবে, যাহা অবলম্বনে প্ৰকৃত স্থানে উপনীত হইতে পার। অন্ধকারে ঢ়িল ছুড়িলে কি হইবে ? যাহা হউক, তুমি ইহার মধ্যে যে দুই-তিনটা মস্ত ভুল করিয়া ফেলিয়াছ, ਚe আমি দেখাইয়া দিতেছি। একটু বুঝিয়া চলিলে এতদিন সর্বতেভাবে এ রহস্য-ভেদ হইয়া যাইত।” দেবেন্দ্রবিজয় কি বলেন শুনিবার জন্য অরিন্দম বাৰু ক্ষণকাল নীরবে: রহিলেন। দেবেন্দ্রবিজয়ও মৌন হইয়া রহিলেন, কোন কথা কহিলেন না। মনে করিলেন, অবশ্যই আমি কোন কোন বিষয়ে বড় ভুল করিয়া থাকিব ; নতুবা ইনি ঐ কথা বলিবেন কেন ? অরিন্দম বাবুর নিকটে ‘ভাবা” ও “বল”, একই কথা। তিনি দেবেন্ত্রবিজয়ের মনোভাব বুঝিতে পারিয়া তাহার উপরে বড় সন্তুষ্ট হইলেন। বলিলেন, “প্ৰথমেই তুমি সেই চুরিখানা লইয়া খুব একটা অবিবেচকের মত কাজ করিয়া ফেলিয়াছ। মজিদ খাঁ যদি খুন করিয়াই থাকিবে, তাহা হইলে কেন সে সেই হত্যাকাণ্ডের সংঘাতিক প্রমাণ স্বরূপ সেই ছুরিখানা নিজের ঘরে আনিয়া লুকাইয়া রাখিতে যাইবে ? সে অনায়াসে সেইখানে ফেলিয়া আসিতে পারিত। সে চুরি মজিদ খাঁর নিজের নহে যে, সেখানে ফেলিয়া আসিলে তাহার কোন বিপদের সম্ভাবনা ছিল। লাসের পাশে ঐ চুরিখানি পড়িয়া থাকিলে কেহই এমন সন্দেহ, করিতে পারিত না, যে মজিদ খাঁর দ্বারা এই খুটা হইয়াছে। মজিদ খাঁর নিজের চুরি হইলে অবশ্যই সে তাহা গোপন