পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

留率-* " 39) ধরে, সেজন্য টােপের চারিদিকে চার ফেলিতে হয়। তুমি তাহা না করিয়া, একটা লাঠী লইয়া জল ঠেঙাইয়া, চারিদিক্‌ হইতে মাছ তাড়াইয়া টোপের নিকটে আনিতে চেষ্টা করিয়ােছ।” 翰 দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “তাড়াতাড়ি করিয়া আমি অনেকগুলি ভুল । করিয়াছি সত্য, কিন্তু এখন আর উপায় নাই-বিশেষ বিবেচনার সহিত, কোন কাজ না করিলে এইরূপই ঠকিতে হয়। তা” যাহাই হউক, আমার ত খুবই মনে হয়, এতগুলা ভুলভ্রান্তি করিয়াও আমি অনেকটা অগ্রসর হইতে, পারিয়াছি। রহস্তোস্তুেদের আর বড় বিলম্ব নাই।” অরিন্দম বাবু বলিলেন, “কথাটা বুদ্ধিমানের মত হইল না, অন্ধকারে পথ হাতড়াইয়া অগ্রসর হওয়া অপেক্ষা একটা আলোক সংগ্ৰহ করাই ঠিক-আর তাঁহাই বুদ্ধিমানের কাজ ; নতুবা অগ্রসর হইতে হইতে এমন একটা বিপথে গিয়া পড়িতে পার যে, গন্তব্য স্থান হইতে তাহা আরও অনেক দূরে। এমন কি সেখান হইতে ফিরিয়া পুনরায় পূৰ্বস্থানে আসিতেই তোমার দম দুটিয়া যাইবে, তা” গন্তব্য স্থানে তখন উপস্থিত হওয়া। তবেহুদূরের কথা।” দেবেন্দ্রবিজয় কহিলেন, “আমার ঠিক তাহা ঘটে নাই, আমি বিপথে চালিত হইয়া দূরে গিয়া পড়ি নাই; সোজা পথ ধরিতে না পারিয়া বঁকা পথে অগ্রসর হুইতেছি-ইহাই আমার বিশ্বাস। আশা করি, এইবার আমি প্রকৃত হত্যাকারীকে ধরিতে পারিব। আমি এখন একবার মুন্সী সাহেবের সঙ্গে দেখা করিব, মনে করিতেছি। ” অরিন্দম বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “র্তাহার কাছে কেন ?” । দেবেজবিজয় কহিবেন, "সন্ধান করিয়া জানিতে পারিয়াছি, মােবারক এখন জোহেরার পাণিপ্রাথী। এখন সে মুন্সী সাহেবের সহায়তা করিতে গিয়া মৃত্য গোপন করিতে পারেঙ্গ